কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) তার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য প্রায় সময় খবরের শিরোনামে থাকেন। অধীর রঞ্জন চৌধুরী, আরও একবার বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন। লোকসভায় কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা অধীর রঞ্জন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ( Amit Shah) অনুপ্রবেশকারী বলেছেন। এনআরসি নিয়ে সরকারের উপর আক্রমন করে তিনি বলেছেন, ‘হিন্দুস্তান সবার জন্য। এই ভারতবর্ষ কি কারও সম্পত্তি ?
প্রত্যেকের সমান অধিকার রয়েছে। অমিত শাহ জি, নরেন্দ্র মোদী জি আপনারা নিজেই অনুপ্রবেশকারী। বাড়ি আপনাদের গুজরাট, দিল্লিতে চলে এসেছেন। আপনারা নিজেরাই প্রবাসী বৈধ-অবৈধ পরের বিষয়। ‘ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সারাদেশে এনআরসি (জাতীয় নাগরিক নিবন্ধক) বাস্তবায়নের বিষয়ে কথা বলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অসম সহ দেশজুড়ে এনআরসি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যা নিয়ে রীতিমতো আক্রোশ প্রকাশ করেছেনকংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী।
সংবাদ সংস্থা এএনআই এর সাথে কথা বলার সময় অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘তারা দেখাতে চায় যে তারা মুসলমানদের তাড়িয়ে দেবে। একজন মুসলমানকে তাড়িয়ে দেওয়ার সাহস তার নেই। মুসলমানরা আমাদের দেশের নাগরিক, তারা পালাবে কেন? হিন্দুস্তান সকলের জন্য, এটি হিন্দুর জন্য, মুসলমানের জন্যেও। গঙ্গা-যমুনা তেহজিবের হিন্দুস্তান। সবার সহযোগিতায় ভারত গঠিত। কিন্তু উনারা দেখাতে চায় যে আমরা হিন্দুদের থাকতে দেব, মুসলমানকে তাড়িয়ে দেব।’
অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘NRC-NRC নিয়ে এমন একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে যে ভারতের আসল নাগরিকরা ভাবছেন আমাদের কী হবে। লোকেরা সব কাগজপত্র নিয়ে বসে থাকে না। কারণ এটি আমাদের দেশ, আমরা ভোট দিয়েছি, এখন এত কাগজপত্র সংগ্রহ করার দরকার কী? সেই দরিদ্র মানুষ, যারা আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া, যারা শিক্ষিত নয়, তাদের কি কখনও কাগজপত্র থাকে? সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে সে দিনের মধ্যে দিয়ে রাত ও কালের জোগাড় কেমন হবে সে নিয়ে চিন্তা করে। এত কাগজপত্র নিয়ে ভাবার সময় তাদের নেই। আজ সেই লোকেরা ভীত। ‘
লোকসভায় কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়ে অদ্ভুত মন্তব্য করে নিজের পার্টির নাম খারাপ করিয়েছিলেন। তিনি ধারা ৩৭০ অনুচ্ছেদ অপসারণের সময় লোকসভায় বলেছিলেন যে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের কোনও অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। এরপরেই হৈ চৈ হয়েছিল। অধীর পরে স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে তিনি সরকারের কাছে স্পষ্টতা চেয়েছিলেন এবং তাঁর বক্তব্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।