দুবাইতে লটারি কেটে ইতিহাস গড়লেন ভারতের আদিল! মুহূর্তের মধ্যে জিতে নিলেন ২৬.৫ কোটি টাকা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের চারপাশে প্রায়শই এমন কিছু ঘটনা ঘটে যেগুলি রীতিমতো অবাক করে দেয় সবাইকেই। এমনকি, ভাগ্যের (Luck) ওপর ভর করে মুহূর্তের মধ্যেই কোটিপতি হয়ে যান কিছুজন। যার ফলে রীতিমতো পরিবর্তিত হয়ে যায় তাঁদের জীবন। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা ঠিক সেই রকমই এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব। যিনি ইতিমধ্যেই ২৬.৫ কোটি টাকার লটারি (Lottery) জিতে সর্বত্র সাড়া ফেলে দিয়েছেন।

মূলত, উত্তরপ্রদেশের মহম্মদ আদিল খান তাঁর ভাগ্যের জোরেই এখন উঠে এসেছেন খবরের শিরোনাম। তিনি এই বিপুল অঙ্কের লটারি জেতার মাধ্যমে আগামী ২৫ বছর ধরে প্রতি মাসে ৫.৫ লক্ষ টাকা করে পাবেন। অর্থাৎ, কিছু না করেই আগামী ২৫ বছর ধরে প্রতি মাসে ৫.৫ লক্ষ টাকা আসতে থাকবে তাঁর অ্যাকাউন্টে। মূলত, দুবাইতে কর্মরত আদিল খান সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর একটি মেগা লটারি জেতার মাধ্যমে হয়ে গিয়েছেন কোটিপতি।

২৫ বছরের জন্য প্রতি মাসে মিলবে ৫.৫ লক্ষ টাকা: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আদিল এমিরেটস ড্র-এর FAST 5 গেমে অংশগ্রহণ করে প্রথমবারের মতো একটি লটারির টিকিট কিনেছিলেন এবং ভাগ্যের ফেরে তিনি প্রথমবারেই বাজিমাত করে ফেলেন। তাঁকে মেইলের মাধ্যমে তাঁর জয়ের কথা জানানো হয়। পাশাপাশি, তাঁকে এটাও জানানো হয়ে যে, তিনি আগামী ২৫ বছর প্রতি মাসে ২৫,০০০ দিরহাম পাবেন। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫.৫০ লক্ষ টাকা।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর মতে, মহম্মদ আদিল দুবাইয়ের একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে ইন্টেরিয়র ডিজাইন কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেন। আদিল উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা। তিনি তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য। করোনার সময় তাঁর ভাই মারা যান। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা ও পাঁচ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে তাঁর। এমতাবস্থায়, সংসারের যাবতীয় খরচ তিনি একাই বহন করেন।

এদিকে, সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম হয়ে পড়ায় অতিরিক্ত আয়ের জন্য তিনি লটারি কিনেছিলেন। লটারিটি যে তিনি জিতে যাবেন তা আদৌ ভাবতে পারেননি তিনি। গালফ নিউজ অনুসারে, গত ২৯ তারিখে যখন FAST 5 ড্রয়ের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন আদিলের নাম ছিল প্রথম স্থানে। উল্লেখ্য যে, এই লটারি Tycheros দ্বারা পরিচালিত হয়।

Adil made history by winning the lottery in Dubai

“বিশ্বাস করতে পারছি না”: বর্তমানে কোটিপতি আদিল জানান, তিনি লটারি জিতেছেন বলে আয়োজকদের কাছ থেকে ফোন পান। প্রথমে তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি। এমনকি, পরিবারের সদস্যরাও অবাক হয়ে যান। আদিল জানান, পরিবারের সদস্যরা তাঁকে টিকিটটি চেক করতে বলেন। আর তারপরেই দেখা যায় স্বপ্নপূরণ হয়েছে তাঁর!


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর