বাংলাহান্ট ডেস্ক: বারবার ব্যর্থতার পর অসাধারণ সফলতার গল্প (Success Story) লিখেছেন আদিত্য বিক্রম। দেশের অন্যতম কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করা সহজ নয়। প্রতিবছর লাখ লাখ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিলেও, শেষ পর্যন্ত নির্বাচিত হন মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন। কেউ কেউ প্রথম বা দ্বিতীয় চেষ্টাতেই সাফল্য পান, আবার অনেকে একাধিকবার চেষ্টা করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পান না। তবে হাল না ছেড়ে যারা লড়াই চালিয়ে যান, তাদের মধ্যেই তৈরি হয় সত্যিকারের উদাহরণ। এমনই এক প্রেরণাদায়ক কাহিনি গড়েছেন হরিয়ানার ঝজ্জর জেলার বাহাদুরগড় সেক্টর–২-এর আদিত্য বিক্রম আগরওয়াল।
আদিত্য বিক্রমের অনন্য সফলতার গল্প (Success Story):
আদিত্য বিক্রম আগরওয়াল ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পঞ্চম প্রচেষ্টায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি ২০২৪ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় অল ইন্ডিয়া র্যাঙ্ক ৯ অর্জন করে সারা দেশকে তাক লাগিয়েছেন। প্রথম চারবারের ব্যর্থতা তাঁকে দমিয়ে দিতে পারেনি; বরং প্রতিটি প্রচেষ্টা তাঁর আত্মবিশ্বাস ও অধ্যবসায়কে আরও শক্তিশালী করেছে (Success Story)।
আরও পড়ুন: জলের দরে হাই স্পিড ইন্টারনেট! সহজেই বাড়িতে মিলবে কানেকশন, এইভাবে বুকিং করুন BSNL ব্রডব্যান্ড
আদিত্যর শিক্ষাজীবন শুরু থেকেই উজ্জ্বল। তিনি দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে হরিয়ানার ঝজ্জর জেলায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছিলেন। এরপর ভর্তি হন এনআইটি প্রয়াগরাজে (আগের নাম এনআইটি আলাহাবাদ), যেখানে তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পড়াশোনা শেষে তিনি কিছুদিন টাটা মোটরসে কর্মরত ছিলেন। ভালো বেতনের স্থায়ী চাকরি থাকা সত্ত্বেও তাঁর মন পড়ে ছিল প্রশাসনিক পরিষেবার প্রতি। সমাজের জন্য কাজ করার ইচ্ছা থেকেই তিনি চাকরি ছেড়ে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করেন (Success Story)।
প্রথম কয়েকটি প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হলেও আদিত্য হতাশ হননি। নিজের ভুলগুলো বিশ্লেষণ করে তিনি পড়ার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনেন। নিয়মিত রিভিশন, উত্তর লেখার প্র্যাকটিস এবং সময় ব্যবস্থাপনার দিকে বিশেষ নজর দেন। তাঁর মতে, ইউপিএসসি শুধু জ্ঞান নয়, বরং ধৈর্য, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং মনোযোগেরও পরীক্ষা (Success Story)।

আরও পড়ুন:সম্পূর্ণ বিনা তেলে মাংস রান্না! এই পদ্ধতিতে রাঁধলে হবে সুস্বাদু আবার পুষ্টিকরও
সাফল্যের (Success Story) পর এক সাক্ষাৎকারে আদিত্য জানান, এই সাফল্যের পেছনে তাঁর পরিবারের অবদান অপরিসীম। তিনি বলেন, “আমি কারও একার নাম নিতে পারব না। মা, বাবা এবং বড় বোন—এই তিনজন সবসময় আমার পাশে ছিলেন। তাঁদের অগাধ বিশ্বাস ও উৎসাহই আমাকে প্রতিটি ধাপে এগিয়ে নিয়ে গেছে।” আদিত্যর গল্প আজ দেশের অসংখ্য ইউপিএসসি প্রার্থীর কাছে প্রেরণার উৎস। অনেকেই এক–দুবার ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দেন, কিন্তু আদিত্য প্রমাণ করেছেন যে ধৈর্য ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অসম্ভবও সম্ভব। তাঁর এই অর্জন শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং এটি একটি বার্তা—“ব্যর্থতা শেষ নয়, বরং সাফল্যের পথে একেকটি ধাপ।”
আজ আদিত্য বিক্রম আগরওয়াল শুধু একজন আইএএস অফিসারই নন, তিনি সেই প্রতীক যিনি দেখিয়েছেন—দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি ও অধ্যবসায় থাকলে কোনো লক্ষ্যই অধরা থাকে না (Success Story)।













