বাংলা হান্ট ডেস্ক : টানা চব্বিশ ঘণ্টা লড়াইয়ে সে অবশেষে বাঁচানো গেল না অন্যায়ের নির্যাতিতাকে, শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মরণপণ লড়াইয়ের শেষে তাঁর মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য রায়বেরিলি স্টেশনের উদ্দেশ্যে বেরোলে উন্নয়ের নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়।
আর রাস্তা আটকে পেট্রোল জেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, গায়ে আগুন নিয়েই প্রায় কয়েক কিলোমিটার পথ ছুটতে হয় ওই তরুণীকে। তখনই প্রায় তাঁর দেহের নব্বই শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতে বিমান পথে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
তাঁরা কয়েক ঘণ্টা মরণপণ লড়াইয়ের পর অবশেষে তাঁর মৃত্যু হয় দিল্লির হাসপাতালে। উল্লেখ্য দ্বিতীয় বার আক্রান্ত হওয়ার পর ওই তরুণীর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক ছিল।শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে পড়ে। উল্লেখ উন্নাও কাণ্ডের অভিযুক্তরা জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আরও একবার ওই নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল।
Delhi: Visuals from outside Safdarjung Hospital where Unnao rape victim died due to a cardiac arrest, earlier tonight. She was set ablaze in Bihar area of Unnao on December 5 and was later airlifted to Delhi, to be admitted here at the hospital. pic.twitter.com/I2qMo5EGWm
— ANI (@ANI) December 6, 2019
শুক্রবার হাসপাতালের বেডে শুয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন নির্যাতিতা তরুণী। তিনি জানিয়েছিলেন হরিশঙ্কর ত্রিবেদী শুভম কিশোর শিবম ও উমেশ তাঁর পথ আটকে গায়ে পেট্রোল জেরে আগুন ধরিয়ে দেয় এর পর তিরের বেগে ছুটতে থাকে সে। তাঁকে দেখে অনেকেই ডাইনি ভেবে পালিয়ে গিয়েছিলেন যদিও কয়েক কিলোমিটার ছুটে গিয়ে তবে সাহায্য পেয়েছিলেন তিনি।
তার পর তাঁকে উদ্ধার করে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি করেন। 2018 সালে ওই নির্যাতিতার এক প্রেমিক তাঁর বন্ধুদের নিয়ে ধর্ষণ করে যদিও মামলা দায়ের করা হয়েছিল কিন্তু অভিযুক্তদের জেলে পাঠানো হলে তাঁরা জামিনে মুক্তি পায়।