বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেখতে দেখতে কেটে গেছে পুরো একটা বছর। অনেক স্বপ্নপূরণ করে, মা এসে চলেও গেছেন। এই শহরটা ঠিক আগের মতোই আছে। তবে বদলে গেছে সব্যসাচীর জীবনধারা। গত বছরটাও একসাথে প্যান্ডেল হপিং-এ মত্ত ছিলেন তারা। তবে তারপর হঠাৎই সব্যসাচীর (Sabyasachi Chowdhury) হাত ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। এবছর কেমন আছেন ঐন্দ্রিলার সব্য!
গত বছরই দীর্ঘ ২০ দিনের লড়াইয়ের পর সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ঐন্দ্রিলা। একটা দীর্ঘ সময় নিজেকে সবকিছু থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন সব্যসাচী। মিডিয়ার সামনেও সচরাচর এই নিয়ে কথা বলেননা তিনি। তবে দিন কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘তোমার একটা অংশও হারিয়ে যায় তার সঙ্গে। বাকি অংশটুকুতে হয়ত প্রলেপ পড়ে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু যে অংশটা হারিয়ে যায়, সেটা ফিরে পাওয়া খুব কঠিন।’
একইরকমভাবে সব্যসাচীও হারিয়েছেন নিজের একটা অংশ। ঐন্দ্রিলাকে ছাড়া সব্যসাচীর যে স্ট্রাগল সেটা কেবল জানে তার পরিবার পরিজন। একজন ইন্ট্রোভার্ট তো অপরজন ছিলেন একসট্রোভার্ট। এককথায় একে অপরের পরিপূরক ছিলেন তারা। সিরিয়ালের সেট থেকে পরিচয় হওয়ায় পর সেই বন্ধুত্ব পৌঁছে যায় প্রেমের সম্পর্কে। আমৃত্যু পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছিলেন তারা।
আরও পড়ুন : বিপদ বুঝে পাল্টি খেল বাবুউউর মা! পর্ণার বদলে এখন ঈশাকেই দিল থ্রেট, ফাঁস জমজমাট পর্ব
নিজের মনের মানুষের পাশে থাকার জন্য সর্বতোভাবে উজার করে দেওয়া কী জিনিস তা শিখিয়েছেন সব্যসাচী। তবে ভগবানের ইচ্ছে বোধহয় অন্য কিছুই ছিল। ২০ দিনের লড়াইয়ের পর অবশেষে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন নায়িকা। উল্লেখ্য, গত বছর অক্টোবরের শুরুতেই ছিল দুর্গাপুজো। পুজোর আবহেই সব্যসাচী এবং তার বন্ধু সৌরভ দাস মিলে একটি ক্যাফে খুলেছিলেন। সেই সময়টা ক্যাফের সমস্ত কাজে হাত লাগিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা নিজেও। এরপর কালীপুজোও কাটান একসাথেই।
আরও পড়ুন : Zomato ডেলিভারি বয় থেকে সরকারি অফিসার, এই যুবকের সাফল্যের কাহিনী চমকে ওঠার মতই
এরপর সব্যসাচীর জন্মদিনটাও বেশ ধুমধাম করেই পালন করেন নায়িকা। তবে তখনও কি আর কেউ জানতো যে, ঐন্দ্রিলার যাওয়ার দিন এগিয়ে আসছে! উল্লেখ্য, নায়িকা প্রথমবার ক্যান্সারে আক্রান্ত হন একাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময়। সেইসময় সুস্থ হয়ে গেলেও মারণরোগ তার পিছু ছাড়েনি। দ্বিতীয়বার ক্যান্সারে আক্রান্ত হন নায়িকা। সেবারও ক্যান্সারকে জয় করে ফিরে আসেন জীবনের কাছে। তবে হেরে গেলেন ব্রেন স্ট্রোকের কাছে।