বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় আমফান চলে যাওয়ার প্রায় ৬৫ ঘণ্টা পরেও রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। কলকাতা – সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এখনও পড়ে রয়েছে গাছ। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। পানীয় জল মিলছে না। এই পরিস্থিতিতে সাহায্যের জন্য সেনাবাহিনীকে তলব করল রাজ্য সরকার (State Government)।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে টুইট করে একথা জানানো হয়েছে। টুইট বলা হয়েছে, “রাজ্যে আমফানের পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে প্রশাসন। এই কাজে সাহায্যের জন্য সেনা তলব করা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও রেল, বন্দর ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকেও সাহায্যের আবেদন করা হচ্ছে। প্রশাসনের প্রাথমিক দায়িত্ব পানীয় জল ও নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করা। যেখানে পানীয় জল নেই সেখানে জলের গাড়ি পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে জেনারেটর ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। ১০০- র উপর দল এই কাজ করছে।”
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের আবেদনের পরে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আরও ১০ টি দল পশ্চিমবঙ্গে রওনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ২৬ টি দল মোতায়েন রয়েছে। অর্থাৎ রাজ্যের ৬ জেলায় এবার ৩৬ টি দল মোতায়েন করা হবে।
আপাতত তিন কলাম সেনা রাস্তায় নেমেছে। পরে প্রয়োজনে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। শনিবার সকালে সেনাবাহিনীকে আমফান উদ্ধারকার্যে যোগ দেওয়ার জন্য রাজ্যসরকারের তরফ থেকে আর্জি জানান হয়। প্রায় তিন দিন কেটে গেলেও পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বহু জায়গায় আলো নেই, জল নেই, গাছ ও ইলেকট্রিকের পোল পড়ে আছে। তাই আর কালবিলম্ব না করে রাস্তায় নামল সেনা।
শনিবার কাকদ্বীপের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি জানান, কাজ করার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই পরিষেবা স্বাভাবিক করতে সময় লাগছে। সাত দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁর নিজের বাড়িতেই বিদ্যুৎ নেই। ফোন কাজ করছে না। কোনও রকমে কাজ চালাচ্ছেন। সবাইকে এই পরিস্থিতিতে একটু ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার রাজ্যে পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ও মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে বসিরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা দেখে আসেন। রাজ্যের তরফে আমফান মোকাবিলা করার জন্য হাজার কোটি টাকার তহবিল গড়া হয়েছে। কেন্দ্রের তরফেও রাজ্যকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।