বাংলাহান্ট ডেস্ক : বড়ঞার তৃণমূল (All India Trinamool Congress) বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha) ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছেন সিবিআই এর হাতে। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায় তার স্ত্রী ও শ্যালকের চাকরি পাওয়ার বিষয়টিও রয়েছে। জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী টগর সাহা এবং শ্যালক নিতাই সাহা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। ২০২১ সালে জীবনকৃষ্ণ বিধায়ক হওয়ার পরই এই দুজন শিক্ষাকতার চাকরিতে ঢোকেন।
সবার মনে প্রশ্ন উঠছে স্ত্রী ও শ্যালকের চাকরি পাওয়ার পেছনে জীবনকৃষ্ণের কোনও হাত ছিল কিনা। দীর্ঘ ৬৬ ঘন্টা জেরার পর আজ সকালে সিবিআই গ্রেফতার করে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। এরপরই মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জে পিয়ারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান গেটে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ডাবল তালা ঝুলিয়ে দেন। জীবনকৃষ্ণ সাহার শ্যালক নিতাই সাহা শিক্ষকতা করেন এই স্কুলেই।
নিতাই সাহা এই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান ২০২২ সালে। নিজের বাড়ি থেকে খুব কাছের এই স্কুলে তিনি চাকরি পান। ইতিমধ্যেই নিতাই সাহার বাড়িতে তল্লাশি করেছে সিবিআই। একটি ল্যাপটপ ও প্রিন্টার মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে সেখান থেকে।
কিন্তু জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই কেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলের গেটে ডবল তালা ঝোলালেন? সূত্রের খবর, স্কুলের গেটের চাবি থাকতো প্রধান শিক্ষকের কাছেই।
প্রধান শিক্ষক দাবি করেছেন অবাঞ্ছিত কেউ যাতে স্কুলের মধ্যে ঢুকে অশান্তি না পাকায় তাই এই ব্যবস্থা। এছাড়াও জরুরী নথি যাতে অন্য কেউ না নিতে পারে সেই জন্য বাড়তি সুরক্ষা নেওয়া হয়েছে। নিতাই সাহা ছাড়াও বেশ কয়েকজন নতুন শিক্ষক ওই স্কুলে সম্প্রতি যোগদান করেছেন। তদন্তকারীরা যে কোনও সময় সেই নথি চাইতে পারেন। তাই সুরক্ষার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।