বাংলা হান্ট ডেস্ক :নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়েছিল ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়,ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে তছনছ হয়ে গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন সহ বসিরহাট এবং বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন।
ঝড়ে দাপটে রাজ্য জুড়ে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করে দেওয়ার জন্য আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল একই সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রের তরফে সমস্ত রকমের সাহায্য করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। সেই মতো কেন্দ্রকে বুলবুল ঝড়ের কারণে রাজ্যে প্রায় চব্বিশ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে চিঠি দিয়ে জানান মুখ্যমন্ত্রী, কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জন্য কোনও ক্ষতিপূরণ রাজ্যের কাছে আসেনি বিধানসভায় ফুটবল ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আলোচনার সময় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
WB CM Mamata Banerjee in state assembly:A team from Center came for survey after cyclone Bulbul.We haven't received any financial assistance yet.The state has suffered loss of Rs 23811.60Cr &6 people lost their lives. PM had tweeted that financial help will be provided.(file pic) pic.twitter.com/5vyCCinPTU
— ANI (@ANI) December 2, 2019
অর্থাত্ সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হলেও সেই সাহায্য যে করা হয়নি তা একপ্রকার স্পষ্ট। তবে সেই ক্ষতিপূরণ ব্যাপার ব্যাপারে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য নভেম্বরের শুরুতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছিল গোটা দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গায়। টুইট করে মমতাকে ফোন করার কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Reviewed the situation in the wake of cyclone conditions and heavy rain in parts of Eastern India.
Spoke to WB CM @MamataOfficial regarding the situation arising due to Cyclone Bulbul. Assured all possible assistance from the Centre. I pray for everyone’s safety and well-being.
— Narendra Modi (@narendramodi) November 10, 2019
প্রসঙ্গত, বুলবুল যখন রাজ্যে আসতে বলেছিল সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের কন্ট্রোল রুমে ঠায় বসেছিলেন, একই সঙ্গে পরিস্থিতি নজর রাখছিলেন। তার পর বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন , একই সঙ্গে ত্রাণ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সঠিক সময় কাজে লাগানো হয়েছিল। পাশাপাশি বুলবুল ঝড়ে বিধ্বস্ত সর্বহারা পরিবারগুলিকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার । পরিকল্পনা রয়েছে বলে এ দিন বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।