বাংলাহান্ট ডেস্ক: সপ্তাহের মাঝামাঝি প্রকাশিত হয় টিআরপি তালিকা। প্রত্যেক সিরিয়ালের জন্য এই ফলাফল এক মরণ বাঁচন লড়াইয়ে সমান। টিআরপিতে ভাল ফল করলে টিকে গেলে, অন্যথা চলে যেতে হবে বাতিলের খাতায়। ঠিক যেমন ভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে ‘দেশের মাটি’ (desher mati)। সিরিয়ালের চরিত্রগুলি জনপ্রিয় হলেও তার ছোঁয়া পড়েনি টিআরপিতে। শোনা যাচ্ছে, সে কারণেই আচমকা এই সিরিয়াল বন্ধের সিদ্ধান্ত।
এবার দেশের মাটির পথ অনুসরণ করতে চলেছে স্টার জলসার আরো এক সিরিয়াল। খবর মিলেছে, খুব শিগগিরি শেষ হতে চলেছে ‘তিতলি’ (titli)। ২৭ তারিখ নাকি হয়ে গিয়েছে শেষ শুটিংও। তিতলির সেটেও এখন মন খারাপের আবহ। পরপর দুটি সিরিয়াল বন্ধের খবরে বিষন্ন দর্শকরাও।
তিতলি সিরিয়ালটিও শেষ হয়ে যাওয়ার কোনো কারণ জানা যায়নি এখনো। টিআরপি তালিকায় জায়গা করতে না পারলেও মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ট্রোলের শিকার হয়েছিল এই সিরিয়াল। এক বধির মেয়ের পাইলট হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তৈরি হয়েছিল সিরিয়াল। কিন্তু কোনো রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই প্রথম বার বিমানে উঠে একজন মানুষ কীভাবে বিমান চালাতে পারে, এই প্রশ্ন তুলে ট্রোল শুরু করেছিল নেটিজেনরা। অনেকদিন আর কোনো ট্রোল চোখে না পড়লেও টিআরপিও ওঠেনি তিতলির।
অপরদিকে ২৬ তারিখ শেষ শুটিং হয়ে গিয়েছে দেশের মাটির। আগামী ৩১ অক্টোবর শেষ সম্প্রচার সিরিয়ালের। তারপর থেকে আর রাজা মাম্পি, নোয়া কিয়ানকে দেখা যাবে না পর্দায়। দর্শকদের অবশ্য ‘রাম্পি’ জুটির জন্যই বেশি মন খারাপ।
শুটিং শেষে দেশের মাটি পরিবারের ছবি সাঁটা কেক কাটা হয়েছে সেটে। সঙ্গে কেঁদে ভাসিয়েছেন অভিনেতা অভিনেত্রী, কলাকুশলীরাও। মাত্র ২৩৫ পর্বে এসে শেষ হয়ে গেল সিরিয়াল। আচমকা চ্যানেল এবং প্রযোজনা সংস্থা যৌথ ভাবে সিরিয়াল শেষ করার সিদ্ধান্ত নিল। কেন? পর্দার রাজা, মাম্পির বাবা, নোয়া কারোর কাছেই তার উত্তর নেই। ক্ষোভ, কষ্ট সব নিয়েই উপর মহলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন তাঁরা।