বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুকুল রায়কে দলে স্বাগত জানাতে একটি প্রেস মিটিং ডেকেছিল তৃণমূল, সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং আরও অনেকে। মুকুল রায়ের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওনার পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও। মুকুল রায়কে দলে স্বাগত জানানোর পর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছিল সাংবাদিকরাও।
প্রশ্নের মাঝে হঠাৎই একজন সাংবাদিক নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) প্রসঙ্গ টেনে আনেন। আর সেই সময়ই শুভেন্দুর নাম শোনা মাত্র সাংবাদিকের প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দেন যে, সাংবাদিক বৈঠক শেষ। এরপরই তিনি টেবিলের উপরে হাতের মাইকটি রেখে সবাইকে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
এটাই প্রথম না যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম শুনতেই বৈঠক ছেড়ে চলে গেলেন। এর আগে ইয়াস বিপর্যয় নিয়ে ডাকা কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক বয়কট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারী ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন শুনেই বেঁকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল যে, ইয়াস মোকাবিলার বৈঠক রাজনৈতিক হয়ে গিয়েছে। আর সেই বৈঠকে শুভেন্দুর উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল তাঁরা।
আজকের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা এটাও বলেছেন যে, ভোটের আগে যারা আমাদের নিয়ে কটূক্তি করেছে তাঁদের দলে নেওয়া হবে না। তিনি তাঁদেরকে গদ্দারও বলেছেন। স্বাভাবিক ভাবে ওনার লক্ষ্য যে শুভেন্দুই ছিল সেটা বলাই বাহুল্য। কারণ নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের নেতা আর শুভেন্দুর মধ্যে অনেক বাকযুদ্ধ হয়েছে, আর অনেক সময় সেটার মাত্রা পার করে পরিবার পর্যন্ত চলে গিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এরকমই কিছু কারণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বারবার শুভেন্দুর নাম শুনলে চটে যাচ্ছেন।