বাংলা হান্ট ডেস্ক : কংগ্রেসের (Congress) অশান্তি কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা। কমলনাথের বিজেপিতে (BJP) যোগদান নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যে পাঞ্জাব থেকে আসছে বড় খবর। সূত্রের খবর, পাঞ্জাবের (Punjab) আনন্দপুর সাহেবের কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারিও (Manish Tewari) বিজেপির হাত ধরতে চলেছেন। শীঘ্রই পদ্ম শিবিরে নাম লেখাতে পারেন তিনি।
মিডিয়ার গুঞ্জন, এবার আনন্দপুর সাহেবের পরিবর্তে লুধিয়ানা লোকসভা থেকে বিজেপির নির্বাচনী প্রতীকে নির্বাচনে লড়তে চান মণীশ তিওয়ারি। সূত্রের খবর, কংগ্রেস সাংসদ নাকি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। যদিও এই খবর ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি মণীশের অফিসের।
মণীশের দল ছাড়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজ্য কংগ্রেসের অস্বস্তিও তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে মুখ খুলল মণীশের অফিস। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন এমন জল্পনা ভিত্তিহীন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় রয়েছেন। সেখানকার উন্নয়নের কাজ খতিয়ে দেখছেন। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকও করছেন। শনিবার রাতে তিনি এক জন কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে ছিলেন।’’
আরও পড়ুন : সঙ্কটে ঝড়খণ্ড সরকার, দিল্লি পৌঁছাল কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ক, ভোটের মুখে বড় খেলা
এখানে বলে রাখি মণীশ তিওয়ারি কেবল একজন সাংসদই নন, তিনি একজন আইনজীবীও। ১৭ তম লোকসভায়, তিনি পাঞ্জাবের আনন্দপুর সাহেব থেকে কংগ্রেস সাংসদ নির্বাচিত হন। ইউপিএ সরকার ক্ষমতাসীন থাকাকালীন, তিনি ২০১২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত লুধিয়ানার সাংসদ ছিলেন। তিনি ইউপিএ সরকারের সময় কংগ্রেসের মুখপাত্রও ছিলেন।
আরও পড়ুন : ‘পুতিনকে একটু বোঝান, এটা বিপজ্জনক’, রাশিয়াকে থামাতে ভারতের কাছে কাতর আবেদন আমেরিকার
এর আগে ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ভারতীয় জাতীয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন তিনি। এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন তিনি। তবে ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেলেও ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ফের একবার জয় হাসিল করেন তিনি। মাঝে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অসুস্থতার কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে সাল ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির সময়েও একবার মণীশের দল ছাড়ার জল্পনা ছড়িয়েছিল। সেই সময় তিনি ইউপিএ সরকারের ব্যর্থতার কারণ খোঁজার দিকে জোর দিতে বলেছিলেন। সেবার কংগ্রেসের হারের ‘পর্যালোচনা’র দাবি প্রকাশ্যেই তুলেছিলেন মণীশ। যদিও এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের হাত ছাড়েননি তিনি।