বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবার ঝটকা খেল তৃণমূল (Trinamool)। মহুয়ার (Mahua Moitra) পর এবার বহিষ্কৃত হলেন ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O’Brien)। এইদিন সংসদে নিরাপত্তার গলদ নিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এই আচরণের পরেই তৃণমূল সাংসদকে বহিষ্কার করা হয় রাজ্যসভা থেকে। সূত্রের খবর, গোটা অধিবেশন থেকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে ডেরেক ও ব্রায়েন। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগে বাদল অধিবেশনেও সাসপেন্ড হয়েছিলেন সাংসদ।
এরপর উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্বে আবারও ফিরিয়ে আনা হয় সাংসদকে। উল্লেখ্য, বুধবার সংসদের মধ্যে স্মোক বম্ব নিয়ে দুই ব্যক্তির হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। ফের একবার এই ইস্যু নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদ ভবন। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিরোধীরা। সেই সাথে অমিত শাহের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়ে ওঠেন তারা।
বিক্ষোভ যখন চরমে তখনই উপরাষ্ট্রপতির চেয়ারের সামনে এসে হাত পা ছুঁড়ে বিক্ষোভ দেখান ডেরেক। তৃণমূল সংসদের এই অসংসদীয় আচরণ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন উপরাষ্ট্রপতি। সঙ্গে সঙ্গে ডেরেককে সংসদ ছাড়ার নির্দেশ দেন ধনখড়। রাজ্যসভার মিলিত সিদ্ধান্তে গোটা শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয় ডেরেককে।
আরও পড়ুন : ‘২০১৪-র পর থেকে…’, অভিষেক মামলায় হাইকোর্টে মুখবন্ধ খাম! ED-র রিপোর্ট দেখে কী বললেন বিচারপতি?
জানিয়ে দিই, চলত বছরের বাদল অধিবেশনে মণিপুর প্রসঙ্গে ডেরেকের মন্তব্য শুনে সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাকে। সেবারও উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে তর্কাতর্কির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় তাকে। এরপর ফের আবার ফিরিয়ে আনা হয় তাকে। এরপর রাজ্যসভার সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, সেবার ডেরেককে সাসপেন্ড করা হয়নি। সেবার আর ভোটাভুটিও করা হয়নি।