বিয়ের পর মেয়েরা শাখা সিঁদুর পড়তে না চাওয়ার অর্থ হল বিয়ে অস্বীকার করাঃ হাইকোর্ট

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বলা হয় বিয়ে (Marriage) নাকি জন্ম-জন্মান্তরের বন্ধন। বিয়ের পর প্রতিটি হিন্দু মেয়েকে স্বামীর দেওয়া সিঁদুর এবং শাখাঁ পলা পড়তে হয়। এতে স্বামীর মঙ্গল হয় বলেও মনে করা হয়। তবে যদি কোন মহিলা বিয়ের পর শাখাঁ পলা সিঁদুর পড়তে না চান, তাহলে বুঝতে হবে তিনি বিয়েটাকেই অস্বীকার করছে। সম্প্রতি এমনই এক রায় দিল গুয়াহাটি হাইকোর্ট (Guwahati High Court)।

বিচারপতি অজয় ​​লাম্বা ও বিচারপতি সৌমিত্র সাইকিয়ার এক ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া রায় অনুসারে, বিয়ের পর কোন মহিলা যদি শাখা পলা সিঁদুর পড়তে অস্বীকার করে, তাহলে ধরে নেওয়া হবে তিনি বিয়েটাকেই অস্বীকার করছেন। এই বিয়েতে তাঁর কোন মত নেই।

sankha pola

শাখা সিঁদুর না পড়লে বিয়ে অস্বীকার করছে স্ত্রী
বিয়ের চিহ্ন স্বরূপ এই শাখা পলা এবং সিঁদুর পড়তে যদি কোন মহিলা অস্বীকার করে, তাহলে সেই বিয়েকে তিনি অস্বীকার করছে বলে ধরা হবে, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিল গুয়াহাটি হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিচারপতিরা আরও জানালেন, স্বামী এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে স্ত্রী যদি ভিত্তিহীন কোন অভিযোগ করে, তাহলে স্ত্রীর সেই অভিযোগ একেবারেই গ্রহণ যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।

শ্বশুড় বাড়িতে থাকতে নারাজ স্ত্রী
সম্প্রতি একটি অসমের কেসের মীমাংসা করতে গিয়ে গুয়াহাটি হাইকোর্ট এই রায় ঘোষণা করে। ঘটনাটি হল, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে এক দম্পতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু বিয়ের এক মাসের মধ্যেই শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের সঙ্গে একসঙ্গে থাকতে নারাজ হয় স্ত্রী। স্বামীকে নিয়ে অন্যত্র থাকার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে স্ত্রী। কিন্তু স্বামী রাজী না হওয়ায়, প্রায়শই ঝামেলা লেগেই থাকত তাঁদের সংসারে। এমনকি সন্তান না হওয়ার জন্য স্বামীকে দোষারোপ করতে থাকে স্ত্রী।

sindur

মামলা করে শ্বশুড় বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে
পরবর্তীতে ২০১৩ সালে স্বামী এবং শ্বশুড়বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ ধারা অনুযায়ী অত্যাচারের মামলা দায়ের করে স্ত্রী। কিন্তু সমস্ত তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখতে গিয়ে স্ত্রীর দোষ থাকার স্বামী এবং শ্বশুড়বাড়ির সদস্যদের বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে স্বামী তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামাল দায়ের করে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর