এয়ারটেল ভোডাফোন এর ভবিষ্যৎ সত্যি কি সুতোর উপরে, নাকি জিও গোছাচ্ছে অন্য প্ল্যান!

 

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সূত্রের খবর টেলিকম সংস্থাগুলির মধ্যে চলছে এখন দড়ি টানাটানির খেলা। জিও তার নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছে অনেক আগেই। সূত্রের খবর টেলিকম সংস্থাদুটিকে জন্য আর এবার অন্যান্য কোম্পানিগুলো তাল মিলিয়ে শুরু করেছে গ্রাহকদের কলের দাম বাড়ানোর খেলা। তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় সচিব পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়৷ সংস্থাদুটির আর্থিক ভারসাম্য ধরে রাখতে এই কমিটি থেকেই ন্যূনতম গ্রাহক মাশুলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ অর্থাৎ প্ল্যানের ভ্যালিডিটি থাকাকালীন রিচার্জ ব্যালান্স শেষ হয়ে গেলেই ন্যূনতম টাকা দিয়ে রিচার্জ করে সিমকার্ড অ্যাক্টিভ রাখতে হবে৷ এভাবেই নিয়মের পরিবর্তন করতে চাইছে সংস্থাগুলি। সরকার ও ব্যবসা দুদিকেই ভারসাম্য বজায় রাখতে এখন এই রাস্তাই বেছে নিতে চাইছে সংস্থাদুটি৷ যদিও প্রথম থেকেই ন্যূনতম গ্রাহক মাশুল নীতির বিরোধি ট্রাই জানিয়েছে, এবিষয়ে তাদের কাছে কোনো রকম প্রস্তাব কেন্দ্রীয় টেলিকম দপ্তর পাঠায়নি৷ এখন টেলিকম সংস্থা গুলি কি করবে সে বিষয়ে মতান্তর রয়েছে।

এই মুহূর্তে ভারতে সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স জিও সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সমর্থন করে জানিয়েছে যে এই মুহূর্তে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার মত পর্যাপ্ত সম্পত্তি আছে দুটি সংস্থার কাছেই৷ প্রয়োজনে সেই সম্পত্তি বিক্রি করেই ঋণ শোধ করতে পারবে তারা৷

jio airtel vodafone 1 3

অন্যদিকে, ভোডাফোন-এর চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার নিক রিডের করা এক মন্তব্য উল্লেখ করে সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, মূলত ইউরোপের বাজারকে অগ্রাধিকার দিতে অন্যান্য দেশ থেকে সরে আসতে চাইছে ভোডাফোন গোষ্ঠী৷ ভারতের ব্যবসাতেও আর অর্থ লগ্নি করতে চাইছেনা তাঁরা৷ আর এই অর্থলগ্নি বিষয়ে অনেক আগেই তারা জানিয়ে দিয়েছে ভারতে। গত মে মাসে ভোডাফোন তাদের নিউজিল্যান্ডের ব্যবসা ২২০ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি করে দিতেও রাজি হয়৷ ভোডাফোন ভারতের বাজার থেকে প্রায় উঠতে বসেছে এমনই জনশ্রুতি শোনা যাচ্ছে জনসাধারণের মধ্যে। সবমিলিয়ে টেলিকম সংস্থা দুটির সামগ্রিক সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ কি হয় তাভবিষ্যতই বলবে৷ আর ভবিষ্যৎ যে খুব একটা সুমুধুর হবে না তা অনেকটাই আপেক্ষিক।


সম্পর্কিত খবর