জুটত না দু’বেলার খাবার, থাকতে হত গাছের নীচে! ভাগ্যের চাকা ঘুরতেই আকাশ এখন লাখপতি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কার ভাগ্যের শিকে কখন ছিঁড়বে তা জানেন না কেউই। তবে, অদম্য জেদ এবং পরিশ্রমের ফলে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে পেছনে ফেলে যে ভাগ্যের চাকাকে ঘুরিয়ে নেওয়া যায় সেটাই যেন প্রমাণ করে দেখালেন আকাশ সিং। বিহারের ভাগলপুর থেকে আসা ছেলেটি যেন তৈরি করলেন সাফল্যের নয়া নজির। দারিদ্র্যের ভ্রূকুটিকে দূরে সরিয়ে দিয়ে তিনিই আজ ছিনিয়ে নিলেন শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা।

বর্তমানে জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো “হুনারবাজ” জিতে আকাশ পেয়েছেন ১৫ লক্ষ টাকা। আর তার ওপর ভর করেই মুহূর্তের মধ্যে তিনি হয়ে উঠেছেন লাখপতি। তবে, তাঁর এই সাফল্যের পথ কিন্তু ছিল চরম কণ্টকাকীর্ণ। হুনারবাজের মঞ্চে আকাশের করুণ কাহিনি শুনে চোখে জল এসেছিল সকলের। বাড়ির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় কার্যত গাছের নিচেই কাটত দিন।

কিন্তু, তাঁর শরীরে কাজ করত অদ্ভুত এক ছন্দ। আকাশের নৃত্যের তালে তাই চোখ জুড়িয়েছিল সকলের। এমনকি, এই সম্পর্কিত ভিডিও তুমুল ভাইরালও হয়ে নেটমাধ্যমে। যা দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন সবাই।

এদিকে, আকাশের এই লড়াকু মানসিকতাকে কুর্ণিশ জানিয়ে শোয়ের বিচারক তথা বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, হুনারবাজের মঞ্চ থেকেই অবসান ঘটবে আকাশের সমস্ত দুঃখ এবং কষ্টের। সেই কথাই যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল এবার। গত রবিবার এই মঞ্চ থেকেই তিনি ছিনিয়ে নেন শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। সাথে পান লক্ষ লক্ষ মানুষের ভালোবাসাও।

hunarbaaz winner 1200

এদিকে, বিরাট এই প্রাপ্তিকে কার্যত বিশ্বাসই করতে পারছেন না আকাশ। স্বপ্ন সত্যি হওয়ার পর রীতিমত আবেগে ভেসেছেন তিনি। রাতারাতি লাখপতি হয়ে তিনি জানিয়েছেন, “কিভাবে বোঝাবো ভেতরে কি চলছে! মনে হচ্ছে এই সবকিছু সত্যি নয়।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, “আমি যে জিতবো তা ভাবতেও পারিনি কোনদিন। মনে হচ্ছে আজ আমি সব পেয়ে গিয়েছি। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।” আপাতত, নতুন ভাবে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান আকাশ। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও বড় লক্ষ্য স্থির করে সেটা পূরণ করতে চান তিনি।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর