বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভিনগ্রহের প্রাণী তথা এলিয়েনদের নিয়ে বিস্তারিত জানতে বহু বছর যাবৎ গবেষণায় লিপ্ত রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি, মাঝে মধ্যেই এই সংক্রান্ত একাধিক তথ্য সামনে আনেন তাঁরা। তবে, এবার যে বিষয়টি উপস্থাপিত হয়েছে তাতে রীতিমতো ঘুম উড়ে গিয়েছে সবার। সম্প্রতি Jim Green নামের NASA-র এক বিজ্ঞানী তুলে ধরেছেন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি প্রায় ৪০ বছর যাবৎ যুক্ত ছিলেন NASA-র সঙ্গে।
এমতাবস্থায়, তিনি দাবি করেছেন যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এলিয়েনদের আওতায় চলে আসতে পারে পৃথিবী। এমনকি, পৃথিবীর বাসিন্দাদের সাথে তাদের ভয়ঙ্কর লড়াই শুরু হতে পারে বলেও মনে করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে ওই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এলিয়েনদের হাতে এনকাউন্টার হতে হবে মানুষদের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, NASA ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বছর যাবৎ ভিনগ্রহের প্রাণীদের উপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ধরণের গবেষণা করছে। এমতাবস্থায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে Jim Green-এর এই দাবি। এদিকে, নেটমাধ্যমে ওই বিজ্ঞানীর এহেন বক্তব্যে কার্যত ঘুম উড়েছে নেটিজেনদের। এই দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে যে কয়েক বছরের মধ্যেই পৃথিবীর ওপর চরম বিপদ নেমে আসতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
মূলত, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে চাইছে NASA। এমনকি, জানা গিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য একটি প্রকল্প হাতেও নিয়েছে তারা। যেটির নাম দেওয়া হয়েছে, “Beacon in the Galaxy” (BITG)। এই প্রকল্পের আওতায় পুরুষ এবং নারীর বিবস্ত্র ছবি মহাকাশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এবং মানবদেহের DNA উপস্থাপিত করতে পারে, এমন দুটি ছবিও মহাকাশে পাঠানো হবে। যাতে সেই ছবি দেখে ভিনগ্রহীরা কিছুটা ধারণা তৈরি করে নিতে পারে। এদিকে, এই আবহেই কিছুদিন আগে ইংল্যান্ডের লিভারপুলের এক মহিলা দাবি করেছিলেন যে, তিনি এলিয়েনদের দেখা পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম Daily Star-এই প্রতিবেদনটি তুলে ধরে।
যেখানে ৫১ বছর বয়সী Sacha Christie জানিয়েছিলেন যে, যখন তাঁর ৭ বছর বয়স ছিল তখন তিনি মোট ৯ টি এলিয়েন দেখতে পেয়েছিলেন। এছাড়াও তাঁকে কেন ভিনগ্রহীরা বারবার বিরক্ত করছে সেই বিষয়েও বিভিন্ন প্রশ্ন তাঁর মাথায় ঘুরতে থাকে বলে জানান ওই মহিলা। যদিও, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রায়শই এলিয়েনদের উপস্থিতি নিয়ে একাধিক মন্তব্য শোনা যায়। এমতাবস্থায়, নতুন করে NASA-র বিজ্ঞানীর এহেন ভয়াবহ দাবি কার্যত চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীর।