বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশ পাওয়ার পর থেকে সরকারি জমি দখলমুক্ত করার কাজ চলছে। সেই সাথে চলছে শহরের বিভিন্ন ফুটপাথ সংলগ্ন এলাকা থেকে হকার উচ্ছেদ অভিযান। এসবের মধ্যেই দিনহাটায় (Dinhata) বন্ধ (Closed) করে দেওয়া হল বিরিয়ানির দোকান (Biriyani Shops)। সোমবার সপ্তাহের শুরুর দিনেই পৌরসভা ও স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে যৌথ অভিযান চালিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সমস্ত বিরিয়ানির দোকান।
দিনহাটা পৌরসভা সূত্রের খবর বেশ কিছুদিন ধরেই দিনহাটা শহরের অলিগলিতে গজিয়ে ওঠা বিরিয়ানের দোকানগুলি বন্ধ করে দেওয়ার দাবিতে গ্রাহক ও ক্রেতাদের কাছ থেকে অভিযোগ আসছিল ভুরি ভুরি। তাই সেই সমস্ত অভিযোগ সরজমিনে খতিয়ে দেখার জন্যই সোমবার দিনহাটা পৌরসভা এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা সশরীরে হাজির হয়েছিলেন।
সেই সাথে এদিন উপস্থিত ছিলেন দিনহাটা পৌরসভার চেয়ারম্যান গৌরী শঙ্কর মহেশ্বরী, দিনহাটা হাসপাতাল সুপার রঞ্জিত মন্ডল- সহ অন্যান্য কাউন্সিলর ও আধিকারিকরা। এদিন বিরিয়ানির দোকানের এই তল্লাশি অভিযানে দিনহাটা শহরের একাধিক বিরিয়ানির দোকানে হানা দেওয়া হয়। সেখানে গিয়ে দেখা যায় সত্যিই ওই সমস্ত বিরিয়ানির গুণগত ম্যান একেবারেই ভালো নয় আর খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
এদিন কোনো দোকানে পাওয়া যায় পচা দুর্গন্ধযুক্ত মাংস, তো কোথাও আবার পাওয়া যায় রং করার রাসায়ানিক খাবার।সবমিলিয়ে বিরিয়ানির দোকানগুলোর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয় আধিকারিকদের। এরইমধ্যে জানা যাচ্ছে অবিলম্বে দিনহাটা শহরের এই সমস্ত দোকান বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই দারুণ উপহার পূর্ব রেলের! এবার বন্দেভারতকেও টেক্কা দেবে এই এক্সপ্রেস ট্রেন
পাশাপাশি এদিন ওই সমস্ত বিরিয়ানির দোকানের ব্যবসায়ীদের মঙ্গলবারের মধ্যেই তাদের ফুড লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে পৌরসভায় আসার কথা বলা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে এদিন দিনহাটা পৌরসভার চেয়ারম্যান গৌরী শংকর মহেশ্বরী জানিয়েছেন, ‘এলাকার মানুষজন অনেকদিন ধরেই বিরিয়ানির গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাই ইতিমধ্যেই পৌরসভায় জমা পড়েছে একাধিক অভিযোগ। যা খতিয়ে দেখতেই যাওয়া হয়েছিল এবং যা দেখা গেল তা খুবই খারাপ অবস্থা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হচ্ছে খাবারদাবার। কোথাও আবার পচা মাংস। তাই আপাতত বিরিয়ানির দোকান দিনহাটা শহরে বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।’
অন্যদিকে আপাতত হকার উচ্ছেদ -অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে হকারদের ১ মাস সময় দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এনিয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে সার্ভে করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, হকারদের জন্য় আলাদা জোন, স্টোররুম সহ একাধিক পরিষেবা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী।