বাংলা হান্ট ডেস্ক : সাম্প্রদায়িক তকমা ঝেড়ে ফেলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। দেশের সমস্ত মুসলিমকে জেহাদি মনে করে না বিজেপি (BJP)। জাতীয়তাবাদী মুসলিমদের সঙ্গে তাদের কোনও সমস্যা নেই। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের নান্দাভাঙায় বিজেপির পঞ্চায়েত সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরই সঙ্গে তিনি বলেন, সওকত মোল্লা, জাহাঙ্গির খানদের কোনও ধর্ম নেই। ওরা গুন্ডা।
এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গণতন্ত্র নেই। ২০২১ সালের নির্বাচনের পরে এখানে সব থেকে বেশি অত্যাচার হয়েছে। কারা অত্যাচার করেছে? আমরা সমস্ত সংখ্যালঘু মুসলিমকে জেহাদি বলি না। রাষ্ট্রবাদীদের সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। আমাদের নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ী এপিজে আবদুল কালামকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত করেছিলেন। আমাদের রাজ্যেই মাসুম আখতারের মতো শিক্ষিত পদ্মশ্রী পাওয়া লোকেরা রাষ্ট্রবাদের পক্ষে কথা বলে। কিন্তু সওকত মোল্লা থেকে জাহাঙ্গির খানরা কোনও ধর্মের লোক নয়। এরা গুন্ডা, এরা তোলাবাজ। আগে সিপিএম করত, পরে তোলামূলের জামা পরে ভাইপোর কালেক্টর হয়ে এই জেলাকে কার্যত জেহাদিদের জেলায় পরিণত করেছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে।’
এদিন নন্দীগ্রামের বিধায়ক আরও বলেন, ‘তৃণমূলের সমস্ত অত্যাচারের বদলা নিতে হবে। ১৮-র পঞ্চায়েতের পরের অত্যাচার, ২১-এর বিধানসভা ভোটের পরের হিংসা আপনারা কি ভুলে গেছেন? এর হিসাব আমরা মেটাবোই, সুদ – আসলের সঙ্গে দণ্ডসুদও আদায় করবে বিজেপি।’
রীতিনতো হুমকির সুরে শুভেন্দু বলেন, ‘আপনারা আর একটু অপেক্ষা করুন। এর থেকেও বড় গুন্ডা ছিল বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল। তিনিও বীরভূমে মনোনয়ন জমা করতে দেননি। সাংবাদিকরা যেত তাঁর কাছে, খুব রসালো রসালো কথা বলতেন। তিনি বলতেন, রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে, মনোনয়ন দিতে যাবে কেন? বলছে গুড় বাতাসা, চড়াম চড়াম ঢাক। আজকে তাঁর অবস্থা দেখুন। কী ভাবে তিহাড়ে যাওয়া আটকানো যাবে সেজন্য এখন ছটফট করছে।’
এদিন শুভেন্দু আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তিনি বলেন, ‘ভাইপো খুব বড় বড় কথা বলে। ও কোনও বক্তাই নয়, ছ্যাবলা। কোমরে হাত ঢুকিয়ে অনেক কথা বলে। আমি তিনটে প্রশ্ন করেছি। জবাব দিতে পারেনি। রুজিরা নারুলাটা কে? যার অ্যাকাউন্টে কয়লা পাচারের টাকা গেছে। মেনকা গম্ভীর আপনার কে হন? আর ২০১৫ – ২০১৭ সাল পর্যন্ত লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর কে ছিলেন? যেতে এদের হবেই। এরা চোর নয়, ডাকাত। লুঠ করেছে। যেখানেই রাখো টাকা, না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা। ভাইপো টাকার ওপর শুয়ে আছে।’