মুখ্যমন্ত্রীকে মন্ত্রীসভা আর দলীয় বৈঠক এবার জেলে গিয়েই করতে হবে! তুমুল আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিজেপি (BJP) তাঁকে বাংলার দায়িত্ব থেকে আপাতত মুক্তি দিয়েছে। তারপরও ইকোপার্কে প্রাতভ্রমণে এসে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে গোলাগুলি ছোঁড়া এখনও ছাড়েননি তিনি। পার্থ-কেষ্টর গ্রেফতারি নিয়ে এবার মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এখন রাজ্য–রাজনীতির প্রেক্ষাপটে পদ খালি বলে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি।

তিনি এদিন বলেন, ‘‌পদ খালি তো আরও বেশি করে হওয়া উচিত। এই দুটো মাত্র উইকেট পড়েছে। আরও অনেক বেশি পড়বে বলেই আমার ধারণা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banarjee) যদি মন্ত্রিসভার বৈঠক করতে হলে এবার জেলের মধ্যে গিয়ে করতে হবে। পার্টির যদি মিটিং করতে হয় তো জেলের মধ্যে গিয়ে করতে হবে। তৃণমূলের অধিকাংশ নেতা মন্ত্রীই তো দুর্নীতিগ্রস্ত। সাধারণ মানুষই কোর্টে গেছে। কোর্ট সিবিআই (CBI) তদন্ত দিয়েছে, সেই সিবিআই তদন্তেই সবকিছু সামনে আসছে। যারা রাজনীতি করছেন, তারা নিজেদের মাথা ঠিক করুন।’‌

একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতার বৃদ্ধি পাওয়া সম্পত্তি নিয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালত সেই মামলায় পার্টি করেছে ইডিকে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ হুমকির সুরে বলেন, ‘‌চোর ডাকাতদের কোন মান সম্মানই থাকে না। মোদিজি না দিলীপ ঘোষ কে কেস করেছে? কেস করেছেন সাধারণ মানুষ। নারদা আর সারদার কেস কে করেছে? সাধারণ মানুষই কেস করেছে। পার্টি তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অনেক পরে। এসএসসি, টেট দুর্নীতি থেকে শুরু করে গরু পাচার, কয়লা পাচার হয়েছে এ রাজ্যে। এতদিন লুঠ করছিলেন, ভাবছিলেন যে কেউ কিছুই করবে না। আজ যখন দেখছেন ব্যাপারটা উল্টো হয়ে গিয়েছে তখন উল্টোপাল্টা বলছেন। আইন থেকে কেউ বাঁচবেন না।’‌

সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ব্রাত্য বসু বা ববি হাকিম কি গ্রেফতার হতে পারেন? এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌ওঁরা কখনও ভেবেছিলেন কত মানুষকে ওঁরা কাঁদিয়েছেন? অনুব্রতর জেলায় ৭৩১টা গাঁজা কেস হয়েছে। তারা কারা? তারা আমাদের পার্টির লোক। তবে কিছু অন্য লোকও আছে। যারা বিরোধিতা করেছে তাদের সবাইকে গাঁজা কেস দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। যাদের এখন চোখের জল বেরোচ্ছে, তারা কি কখনও ভেবেছেন বাংলার মানুষ ঠিক কীভাবে বেঁচে আছেন? এসএসসি’‌র প্রাক্তন চেয়ারম্যান বলেছেন কম করে ৩৮ হাজার লোকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত পাপের প্রায়শ্চিত্ত তো করতেই হবে।’‌

ইডি-সিবিআই-র নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূল কংগ্রেস বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী নেত্রী ছিলেন, রোজ রাস্তায় নেমে সিবিআই তদন্তের জন্য চেঁচামেচি করতেন। আজ যখন ওদের বাড়ি থেকেই টাকা বেরোচ্ছে, তখন সিবিআই খারাপ হয়ে গেল! সবে তো শুরু। পার্থবাবু জুতো খেয়েছেন, কেষ্টদা জুতো খেয়েছেন। তোমরা সবাই জুতো খাবে। যদি নিজেদের মান সম্মান থাকে, মা–বাবার মান সম্মান রাখতে চাও, রাস্তায় বেরিও না, চোরেদের জন্য লোকে তোমাদের জুতোপেটা করবে, আমরাও করব।’‌ দিলীপবাবু মনে করেন এই চোরের দলের মাথা হলো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে জেলের ভাত খাইয়ে তবেই থামবে ইডি-সিবিআই।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর