বিয়ের আগেই শুরু! অনন্ত-রাধিকার ‘মামেরু’ পর্ব, গুজরাতিরা কেন পালন করেন এই অনুষ্ঠান?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এই মুহূর্তে টিনসেল টাউনে তুমুল চর্চায় রয়েছে মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত আম্বানি (Anant Ambani) এবং রাধিকা মার্চেন্টের (Radhika Merchant) বিয়ে (Wedding)। আগামী ১২ ই জুলাই চার হাত এক হবে তাঁদের ছোটবেলার বান্ধবী রাধিকার সাথেই স্বপ্নের বিয়ে সারবেন আম্বানি পুত্র। তাঁদের সেই বিয়ের অনুষ্ঠানই এখন  আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

যদিও অনন্ত-রাধিকার (Anant-Radhika) বিয়ের আগে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁদের  প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান। যার মধ্যে অন্যতম হলো ‘মামেরু’ (Mameru)। গত ৩ জুলাই আম্বানিদের প্রাসাদোপম বাড়ি অ্যান্টিলিয়াতেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল গুজরাটি পরিবারের এই প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান। গুজরাটিদের নিয়ম অনুসারে বিয়ের কয়েক দিন আগেই তাদের তরফে আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠানের।

   

কিন্তু এই নাম শোনেননি অনেকেই। তাই জানতে কৌতুহল হচ্ছে এই ‘মোসালু’ (Mosalu) অনুষ্ঠান কি? কিংবা ‘মামেরু’ অনুষ্ঠানই বা কেন করা হয়? আসলে গুজরাতি পরিবারের নিয়ম অনুসারে বিয়ের কয়েক দিন আগেই ‘মোসালু’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই নিয়ম অনুসারে হবু বরের মায়ের পরিবারের দিককার কোনও সদস্য হবু বর-কনেকে আশীর্বাদ স্বরূপ উপহার তুলে দেন।

আরও পড়ুন: এডিটিং-র চরম সীমা পার! নিজেকে রোগা দেখতে গিয়ে কাঞ্চনকে ‘রিকেট’ রোগী বানিয়ে দিলেন শ্রীময়ী

বর-কনেকে যায় এই অনু‌ষ্ঠান উপলক্ষে বিয়ের আগে হবু দম্পতির হাতে যে উপহার তুলে দেওয়া হয়, তাকে ‘মামেরু’ বলা হয়। সূত্রের খবর এদিন  অনন্ত-রাধিকার ‘মোসালু’ অনুষ্ঠান উপলক্ষে নীতা অম্বানীর মা পূর্ণিমা দালাল ও তাঁর বোন মমতা দালাল অ্যান্টিলিয়ায় এসেছিলেন অনন্ত-রাধিকাকে (Anant-Radhika) আশীর্বাদ করার জন্য। তবে এদিন শুধু আশীর্বাদই নয়, এদিন অনন্ত-রাধিকার জন্য তাঁরা দারুণ সব উপহার-ও এনেছিলেন।

Anant 5

গুজরাতিদের মধ্যে এই অনুষ্ঠানের আলাদাই ক্রেজ রয়েছে। ওইদিন এই ‘মামেরু’ অনুষ্ঠান উপলক্ষে গোটা অ্যান্টিলিয়া সাজিয়ে তোলা হয়েছিল একেবারে নববধূর সাজে। ফুলেল সাজ আর আলোর রোশনাইয়ে জ্বলজ্বল করছিল অ্যান্টিলিয়া। বিয়ের আগেই এদিন বৌয়ের বেশে সেজেছিলেন রাধিকা। এদিন তাঁর পরনে ছিল মণীশ মলহোত্রার নকশা করা গোলাপি রঙের লেহঙ্গা। আর অনন্তের পরনে ছিল কমলা রঙের পাঞ্জাবি আর জওহর কোট।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর