বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পৈতৃক সম্পত্তির অধিকার (Property Right) নিয়ে হামেশাই ভাই-বোনদের মধ্যে রেষারেষির ঘটনা সামনে এসে থাকে। একটা সময় ছিল যখন পৈতৃক সম্পত্তির ওপর মেয়েদের কোন অধিকার ছিল না। কিন্তু ২০০৫ সালের পর থেকে বদলে গিয়েছে সেই আইন। এখন ভারতীয় আইন মেয়েদের পক্ষে। তাই পৈতৃক সম্পত্তিতে একজন ছেলের সমান অধিকার পেয়ে থাকেন মেয়েরাও। যা আগে ছিল না। তবে ভাই বা দাদা থাকলে মেয়েরা এই পৈতৃক সম্পত্তিতে কতটা সুবিধা পাবেন? আসুন জানা যাক এই বিষয়ে কি বলছে আইন?
পৈতৃক সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার (Property Right)
উত্তরাধিকার আইনের ভিত্তিতে দেশের সম্পত্তি ভাগের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট আইন। এই আইনের ধারা অনুযায়ী ভারতে সম্পত্তি ভাগের জন্য ১০৬৫ সালের সালের হিন্দু অধিকার আইন পাস হয়েছিল। এই আইনের আওতায় হিন্দু-বৌদ্ধ-জৈন ও শিখদের মধ্যে সম্পত্তি ভাগ এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত আইন ঠিক করা হয়েছে। আগে বাবার সম্পত্তিতে মেয়েদের কোন অধিকার (Property Right) ছিল না। ২০০৫ সালে হিন্দু অধিকার আইন সংশোধনের পর মেয়েরাও বাবার সম্পত্তিতে ছেলের সমান অধিকার পেতে শুরু করেছেন। কিন্তু বিয়ে হয়ে গেলে বিয়ের কত বছর পর একজন মেয়ে তার বাবার সম্পত্তিতে অধিকার ফলাতে পারেন?
আগেই বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে এই উত্তরাধিকার আইনে এসেছে পরিবর্তন। তাই ২০০৫ সালের আগে পর্যন্ত হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের অধীনে শুধুমাত্র অবিবাহিত মেয়েরাই পরিবারের সদস্য হিসেবে বিবেচিত হতেন। বিয়ের পর তাদের ওই পরিবারের সদস্য বলে বিবেচনা করা হতো না। অর্থাৎ বিয়ের পর বাবার সম্পত্তিতে কোন অধিকার ছিল না মেয়েদের। কিন্তু ২০০৫ সালের হিন্দু অধিকার আইনের সংশোধনী আনার পর এখন ওই পৈতৃক সম্পত্তির সমান উত্তরাধিকারী (Property Right) হিসেবে বিবেচিত হয় মেয়েরাও।
আরও পড়ুন: আজই অ্যাকশন! পথে নামছেন পরিবহণমন্ত্রী, বিরাট কান্ড হবে কলকাতায়
আইন পরিবর্তন হওয়ার পর বিয়ের পরেও বাবার সম্পত্তিতে মেয়েরা ছেলের সমান অধিকার পায়। বিয়ের কত বছর পর বাবার সম্পত্তিতে মেয়েদের অধিকার (Property Right) থাকে? জানা যাচ্ছে এক্ষেত্রে কোন সীমাবদ্ধতা বা নিয়ম নেই। অর্থাৎ বাবার সম্পত্তিতে মেয়ের অধিকার থাকে সারা জীবন। এখানে বলে রাখা ভালো হিন্দু উত্তরাধিকার আইনের আয়তায় সম্পত্তি দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি পৈতৃক সম্পত্তি অন্যটি স্বঅর্জিত সম্পত্তি।
পৈতৃক সম্পত্তি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম চলে আসে। এই সম্পত্তিতে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জন্মগত অধিকার থাকে। কিন্তু যে সম্পত্তি বাবার নিজের অর্জিত অর্থে তৈরি তাতে কারো জন্মগত অধিকার নেই। বাবা চাইলে এই সম্পত্তি পুরোটাই ছেলে কিংবা মেয়ের নামে অথবা ছেলেমেয়ে দুজনের নামে সমানভাগে ভাগ করে দিতে পারেন। কিন্তু যদি সম্পত্তি ভাগ করার আগেই বাবার মৃত্যু হয় তাহলে ছেলে এবং মেয়ে দুজনেই ওই সম্পত্তির বৈধ অধিকারী। যদি বাবা উইল ছাড়া মারা যান তাহলে তাঁর সম্পত্তি ক্লাস ওয়ান অর্থাৎ আইনগত উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হয়। এক্ষেত্রে ওই সম্পত্তি পেয়ে থাকেন ওই ব্যক্তির মা,স্ত্রী, এবংসন্তান।