বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতবর্ষ মানেই কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশে চাষবাস (Farming) করেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন বহু মানুষ। আর এখনকার দিনেই কৃষিকাজ করেই প্রতি মাসে ভালো টাকা উপার্জন করছেন বহু কৃষক। তাই এই উপার্জনের কথা মাথায় রেখে এখন চাষবাসের দিকে ঝুঁকছেন তরুণ প্রজন্মের বহু ছেলেমেয়েরাও। তবে আজ আপনাদের জানাবো এমন একধরণের ব্যবসা (Business Idea) সম্পর্কে যা আগে কেউ কখনও শোনেননি।
কেঁচো চাষের (Earthworm Farming) ব্যবসা
এই ব্যবসার জন্য কোন ঝাঁচকচকে দোকান কিংবা ঘরের প্রয়োজন নেই। বাড়ির পাশে কিংবা চাষের জমি থাকলেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন যে কেউ। আর একবার এই ব্যবসা শুরু করতে পারলে তাদের যে কি পরিমাণ লাভ হবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারবেন না। এতদিন অনেকেই কমবেশি শুনেছেন কেঁচো সার বিক্রির কথা। কিন্তু কখনো শুনেছেন কি কেঁচো চাষের (Earthworm Farming) কথা?
জানলে অবাক হবেন, এবার এই বাংলার বুকেই চৌবাচ্চা তৈরি করে কেঁচো চাষ (Earthworm Farming) করে তা বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো কেঁচো চাষ (Earthworm Farming) করার পর তা বিক্রির জন্য কোথাও নিয়ে যেতে হচ্ছে না। বরং ক্রেতারাই বাড়ি এসে নিয়ে যাচ্ছেন প্রয়োজন মতো কেঁচো। কিন্তু প্রশ্ন হল এই কেঁচো নিয়ে সবাই করবেন টা কি? এতদিন বিদেশের বাজারে কেঁচো বিক্রির কথা শুনেছেন অনেকেই।
এবার পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়েছে কেঁচোর বিক্রি। যার দাম নেহাত কম নয়। জানা যাচ্ছে মালদহের সাধারণ বাজারে এই কেঁচো বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকা কেজি দরে। এই জেলায় যার হাত ধরে এই কেঁচো বিক্রির ব্যবসা শুরু হয়েছে তিনি হলেন সইফুদ্দিন আহমেদ। তার কাছ থেকে স্থানীয় বহু মানুষজন তো কেঁচো কিনছেনই, এমনকি সরকারিভাবেও তার কাছ থেকে কেঁচো কেনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: চাকরির আশা ছাড়ুন! কম পুঁজির এই ব্যবসা করলেই ফুলে ফেঁপে উঠবে লক্ষ্মীভাণ্ডার
ওই বিক্রেতার কথায় এক হাজার টাকা কেজি দরে কেঁচো বিক্রি করছি। অনেকেই কেঁচো সার উৎপাদনের জন্য এই কেঁচো কিনছেন। তাদেরকে আমি প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। ওই বিক্রেতা জানিয়েছেন তিনি যে সমস্ত কেঁচো চাষ করে থাকেন সেগুলি আসলে অস্ট্রেলিয়া এবং সাউথ আফ্রিকার। মালদার ইংরেজ বাজারের বাসিন্দা সাইফুদ্দিন এক সময় বিধানচন্দ্র কৃষি বিদ্যালয় থেকে কেঁচো সার তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।
বিগত ২০ বছর ধরে তিনি কেঁচো সার উৎপাদন করে চলেছেন। কৃষি বিদ্যালয় থেকে তিনি অস্ট্রেলিয়া ও সাউথ আফ্রিকার কেঁচো পেয়েছিলেন। আর বর্তমানে তিনি একজন সকল কেঁচো সার উৎপাদনকারী। বর্তমানে তিনি হাজার টাকা কেজি দরে কেঁচো বিক্রির পাশাপাশি সার তৈরি করেও বছরে মোটা টাকা রোজগার করছেন।