বাংলা হান্ট ডেস্ক : আরজিকর কাণ্ডে বিতর্কিত মন্তব্য করে একাধিকবার শিরোনামে উঠে এসেছেন টলিউড অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick)। আজ তাঁর পায়ের তলার মাটি শক্ত থাকলেও একটা সময় এই জায়গা পাকা করতে কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। ইন্ডাস্ট্রির বহু সহকর্মীরাও তাঁর সেই কঠিন লড়াইয়ের সাক্ষী থেকেছেন।
কাঞ্চন মল্লিকের (Kanchan Mullick) জীবনের কঠিন লড়াই
একাধিকবার জীবনের সেই লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন লড়াকু কাঞ্চন মল্লিকও (Kanchan Mullick)। সম্প্রতি জোশ টকসের মঞ্চে আরও একবার কাঞ্চনের (Kanchan Mullick) মুখে শোনা গেল দিন আনা, দিন খাওয়া নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সেই ছোট্ট ছেলের কঠিন স্ট্রাগলের কাহিনী। কাঞ্চনের বাবা কাজ করতেন একটি বেসরকারি কারখানায়। কিন্তু আচমকা তালা বন্ধ হয়ে যায় সেই কারখানা।
তবে কাঞ্চনেয় জীবনে ঝড় নেমে আসে তখন যখন তিনি দশম শ্রেণীতে পড়তেন। সেসময় তাঁর বাবা অসুস্থতার কারণে, বাড়িতে সম্পূর্ণ বসে গিয়েছিলেন।তখন কাঞ্চনই ছিলেন বাড়ির একমাত্র রোজগেরে সদস্য। তখন কাঞ্চনের বয়স মাত্র ১৫-১৬ বছর। এই বয়সেই সংসারের ভার চেপেছিল তাঁর কাঁধে। ছোট থেকেই কাঞ্চন ছিলেন বাড়ির সকলের কাছে ফাউয়ের মতো।
আরও পড়ুন : কালরাত্রি! দেবীর এই ভয়ঙ্কর রূপে বাংলা সিরিয়ালের কোন অভিনেত্রী, চিনতে পারছেন?
তবে এত দায়িত্ব সামলেও পড়াশুনা চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই দিনগুলো সহজ ছিল না একেবারেই। মাত্র হাজার বারোশো টাকা রোজগার করার জন্যও রাত দিন এক করে সেলসম্যানের চাকরি থেকে শুরু করে মদের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে জিনিস বিক্রি করতেও দুবার ভাবেননি কাঞ্চন।
যাই হয়ে যাক না কেন পেটের ভাত জোগাড় করতে কাজও তো করতে হবে। তাই সেসময় তিনি ভর্তি হয়েছিলেন নাইট কলেজে। আর এমন সময় আচমকাই চিকিৎসার অভাবে বোনকে হারান কাঞ্চন। সেই সময় এক বন্ধুর সুবাদেই থিয়েটারে যোগ দেন কাঞ্চন। তিনি দেখেন সারাদিন কঠোর পরিশ্রমের পর থিয়েটার গ্রুপের সঙ্গে কাটানো ৩ ঘন্টা সময়টাই যেন তাঁর কাছে অক্সিজেন হয়ে উঠছে।