বাংলা হান্ট ডেস্ক : ‘প্যায়ার হো তো অ্যায়সা’__জেনারেশন জেডকেও হাতে ধরে প্রেম শেখানোর ক্ষমতা রাখেন শোভন (Sovan Chatterjee) বৈশাখি (Baishakhi Banerjee)। ট্রোলিং, কটাক্ষ কোনোকিছুরই পরোয়া তারা করেননা। এমনকি তারা দুজন দুজনকে ঠিক কতটা ভালোবাসেন সেই কথা প্রকাশ করতে কোনোদিনই কুণ্ঠাবোধ করেননি। শহর কাঁপিয়ে প্রেম করাতেই যেন তাদের আনন্দ।
এখনও পর্যন্ত আইনি বিয়ে না হলেও একে অপরের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি তারা দিয়ে দিয়েছেন। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম স্ত্রী রত্না দেবি ডিভোর্স পেপারে সই করে দিলে এতদিনে তাদের আইনি বিয়েটাও বোধহয় হয়েই যেত। তবে তাতেও কি তাদের প্রেম আটকানো গেছে? নাহ, নিন্দুকদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খুল্লমখুল্লা প্রেম করে চলেছেন দুজনে।
প্রায়শই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ছবি ভিডিও পোস্ট করতে থাকেন তারা। কখনও শোভন বৈশাখীর গালে চুম্বন এঁকে দেন তো কখনও বৈশাখী আবার শোভনের গলা জড়িয়ে আহ্লাদি হয়ে ওঠেন। তাদের এইসব ছবি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয় ভালোই। এসবের মাঝেই আরও একবার সংবাদ শিরোনামে এই লাভ বার্ডস।
আরও পড়ুন : বাংলা সিরিয়ালে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স! ‘কার কাছে কই মনের কথা’র এপিসোড দেখে ক্ষুব্ধ দর্শক
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বৈশাখী শোনালেন, তাদের প্রথম দেখা হওয়ার গল্প। শোভনের প্রেয়সী বলেন, ‘প্রথম যেদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি, আমার এক সাংবাদিক বন্ধু বলেছিল খুব মন দিয়ে শোভনদার হাত দুটো দেখবি। আমি বলি, হাত মানে? জবাব এল- এক হাতের ব্রেসলেট আর অপর হাতে ঘড়ি। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকজন বলে উঠল- আর উত্তম কুমারের মতো গিলে করা পাঞ্জাবিটা দেখব না?’
আরও পড়ুন : অবশেষে সূর্যর হাতে এল DNA টেস্টের রিপোর্ট, টিভির আগেই ফাঁস ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র ধামাকাদার এপিসোড
তার আরও সংযোজন, ‘আমি কিন্তু সেদিন ওইগুলো স্টাডি করতেই গিয়েছিলাম…. অফিসের শেষবেলাতেই দেখা, প্রায় ৪টে বাজে। সত্যিই ওইরকম সাজে আমি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে দেখিনি’। ওদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সালটা ২০০৯। একটা মিউনিসিপ্যালটির বডি তৈরি হচ্ছিল, যে কারা কোন দায়িত্ব নেবে। হঠাৎ করে দেখি দু-চার জন ভদ্রমহিলা পিকনিক করছেন, তাদের মধ্যে কেউ এগিয়ে আসছে।’ গানের কলি দিয়ে বললেন, ‘তোমার দেহের ভঙ্গিমাটি যেন বাঁকা সাপ পায়ে পায়ে ছড়িয়ে রাখো যৌবনেরই ছাপ।’
আরও পড়ুন : মায়ের সাথে বেড়ু বেড়ু, ব্যস্ততা সরিয়ে পরিবারের জন্য সময় বের করলেন দেব, প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটজনতা
প্রাক্তন মেয়র আরও বলেন, ‘বৈশাখীকে কিন্তু আমি আজ থেকে চিনি এমনটা নয়। দীর্ঘদিন ধরে আমি বৈশাখীকে জানি। বৈশাখীর সঙ্গে আমার প্রথম দেখা… একবার শাড়ি বার করতে করতে, আমি বললাম তুমি সেদিন এই শাড়িটা পরেছিলেন না। তখন ও খুব অবাক হয়ে যায়, বলল তোমার শাড়িটার কথাও মনে আছে’। এই প্রসঙ্গে বৈশাখী বলেন, ‘আমি ভাবলাম বাবা, লোকটার কী ফটোজেনিক মেমোরি।‘