বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম! চলমান হাসপাতাল বানিয়ে নজির গড়ল ভারত

বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রত্যেক মানুষের জীবনে থাকা খাওয়ার মতই একটি মৌলিক চাহিদা হল চিকিৎসা ব্যবস্থা (Health System)। কিন্তু আমাদের দেশে আজও বহু প্রত্যন্ত গ্রামে এই সুলভ চিকিৎসা ব্যবস্থার বড়ই অভাব। বিশেষ করে কোনো দুর্গম অঞ্চলে যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে আঘাত পেলে বিরাট বিপদে পড়ে যান ভারতীয় সেনা জওয়ানরা (Indian Army)।

বিশ্বের প্রথম চলমান হাসপাতাল’ (Portable Hospital)

তাই এবার যুদ্ধক্ষেত্রে আহত ভারতীয় সৈনিকদের উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য চালু করা হচ্ছে ‘চলমান হাসপাতাল’ (Portable Hospital)। সীমান্ত এলাকা হোক কিংবা দেশের কোন দুর্গম অঞ্চল যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সৈনিকদের চিকিৎসা দিতে যে কোনো সময়, যেকোনো জায়গায় দূতের মতো এসে পৌঁছবে এই ‘চলমান হাসপাতাল’ (Portable Hospital)।

   

আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তৈরি এই চলমান হাসপাতালের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আরোগ্য মৈত্রী হেলথ কিউব’ (Aarogya Maitri Health Cube)। জানা যাচ্ছে এই পোর্টেবল হাসপাতাল বায়ু সেনার হারকিউলিস বিমানের  সাহায্যে ১৫ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে মাটিতে নামিয়ে আনা হয়। ভারতীয় সরকারি সংস্থা এইচএলএল লাইফ কেয়ার তৈরি করেছে এই আরোগ্য মৈত্রী হেলথ কিউবটি।

আরও পড়ুন : ‘সবাই তৃণমূল বিরোধী? রাতারাতি সিপিএম হয়ে গেল?’ এবার ‘ফেসবুক বিপ্লব’ নিয়ে বিস্ফোরক জীতু

এটি বিশ্বের প্রথম চলমান হাসপাতাল। যা কেরলে তিরবনন্তপুরমে তৈরি হয়েছে তৈরি হয়েছে। এই চলমান হাসপাতালে মোট ৭২ রকমের চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে। এই হাসপাতাল গুলিতে জাওয়ানদের প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি, পোড়া মাথা, মেরুদন্ড, বুকের আঘাত, ছোটখাটো অস্ত্রপ্রচার হাড় ভেঙে যাওয়া এবং বিপুল রক্তক্ষরণের মতো চিকিৎসা করা সম্ভব।

একসঙ্গে মোট ২০০ জন রোগীর চিকিৎসা করতে পারে এই হাসপাতাল। অভিনব এই চলমান হাসপাতালে মধ্যেই রয়েছে ছোট আইসিইউ অপারেশন থিয়েটার, রান্নাঘর, খাওয়ার জল, রক্ত পরীক্ষা সরঞ্জাম। ওজনের দিক থেকেও এই  কিউবগুলি খুবই হালকা হয়ে থাকে। যার ফলে এয়ার ড্রপের পর এই চলমান হাসপাতাল গুলি যে কোনো  জায়গায় দ্রুত স্থাপন করা যেতে পারে। জানলে অবাক হবেন শুধু মাটি নয় সমুদ্রের মধ্যেও এটিকে যে কোন জায়গায় সহজে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর