বাংলা হান্ট ডেস্ক : জ্ঞানবাপী কাণ্ডে (Gyanvapi Masque) ফের একবার ধাক্কা খেল মসজিদ কর্তৃপক্ষ। মসজিদের ‘তহখানা’য় পুজোর অনুমতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহবাদ হাই কোর্টের (Allahabad High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল মুসলিম পক্ষ। মামলা উঠেছিল এলাহবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের বেঞ্চে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর এবং দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে নিজের রায় শুনিয়েছেন তিনি। আর তাতেই মুখ চুন মসজিদ কর্তৃপক্ষের।
এইদিন দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের সময় হিন্দু পক্ষের আইনজীবী প্রভাস পাণ্ডে জানিয়েছেন, বারাণসী জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নতুন করে মামলা করে মুসলিম পক্ষ। উল্লেখ্য, এর আগে বারাণসী আদালত জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টে পুজো করার অনুমতি দেয়। কোর্টের নির্দেশ মেনেই শুরু হয় পুজো অর্চনা। এরপর সেই রায়ের বিরুদ্ধে এলাহবাদে পৌঁছায় মুসলিম পক্ষ।
যদিও এলাহবাদ হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে জানিয়েছে, জারি থাকবে জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টের পুজো। এলাহবাদ হাইকোর্টের এই রায় যে হিন্দু পক্ষের জন্য একটা বড় জয় সেকথা বলাই বাহুল্য। যদিও বিভিন্ন মিডিয়া সূত্রে জানা যাচ্ছে, ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে মুসলিম পক্ষ। তবে প্রভাস পাণ্ডে জানিয়েছেন, এই কোনোকিছুর কারণেই পুজো, অর্চনায় ব্যাঘাত হবেনা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপীতে মোট ৪ টি তহখানা রয়েছে। এর আগে ১৯৯৩ সাল অবধী পুজো অর্চনা জারি ছিল। তবে মাঝে কংগ্রেস সরকারের আমলে বন্ধ করা হয় সেই পুজো। তারপর থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠে হিন্দু পক্ষের মানুষজন। শুরু হয় তদন্ত। তদন্তের দায়ভার বর্তায় এএসআইয়ের উপর। এরপর এএসআইয়ের রিপোর্টে দাবি করা হয় জ্ঞানবাপীর ওজুখানা চত্বরে রয়েছে হিন্দু মন্দিরের ভগ্নাংশ।
রিপোর্ট বলছে, ওজুখানার চত্বরে রয়েছে অসম্পূর্ণ শিবলিঙ্গের অস্তিত্বও। সেই সঙ্গেই হনুমান, বিষ্ণু, নান্দীর মূর্তিও থাকার কথা জানাচ্ছে রিপোর্ট। রয়েছে মধ্যযুগীয় দেবদেবীর মূর্তি ও ভাস্কর্যও। অর্ধেক হনুমান ও অর্ধেক সাপের দৈব ভাস্কর্যও উঠে এসেছে তদন্তে। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই ফের একবার পুজো শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল বারাণসী আদালত। আর এবার সেই রায়কেই বহাল রাখল এলাহবাদ হাইকোর্ট।