বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মার্চ থেকেই রাজ্যে ভোটপর্ব শুরু হয়েছে। ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হতে চলেছে। দ্বিতীয় দফায় ৪ জেলার ৩০ আসনে নির্বাচন হবে আগামীকাল। এই ভোটের মরশুমে বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে আসছে রাজনৈতিক হিংসার খবর সামনে আসছে। আর এরই মধ্যে তৃণমূল নেতা তথা প্রার্থী মদন মিত্রর ডেরা বলে পরিচিত কামারহাটি থেকে বিক্ষিপ্ত ঘটনা সামনে আসছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, কামারহাটির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দিল্লী পাড়ায় মঙ্গলবার রাতে কেউ বা কারা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে কাঁদা লেপে দেয়। এছাড়াও তৃণমূলের ফ্ল্যাগ, পোস্টার আর ব্যানার ছেঁড়ার অভিযোগ ওঠে। শাসক দল এই ঘটনার জন্য বিজেপিকে দায়ি করেছে। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শাসক দল অভিযোগ করে বলে, নিজেদের হার নিশ্চিত জেনে বিজেপি এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরেকদিকে, কামারহাটির বিজেপির প্রার্থী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘কামারহাটিতে মদন মিত্র হারছেন। বিজেপি বিপুল ভোটে এই কেন্দ্রে জয়লাভ করবে, তাই আমাদের অশান্তি ছড়ানোর কোনও দরকারই নেই। ওরাই নিজেদের মধ্যে কোন্দল করে নিজেদের ফ্ল্যাগ, ব্যানার ছিঁড়ছে। আসলে ওঁরা বুঝতে পেরে গেছে যে, ওঁরা হারছে।”
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজনৈতিক হিংসার খবর আসছে। কখনো অভিযুক্ত শাসক দল, আবার কখনো শাসক দলই বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলছে। আরেকদিকে, নির্বাচন কমিশন রাজ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর জন্য বদ্ধপরিকর হয়েছে। দু’দিন আগেই নির্বাচন কমিশন কড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশিকা জারি করেছে।
প্রথম দফার নির্বাচনের আগের দিন পটাশপুরে আক্রান্ত হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল গাড়ি। আর সেই ঘটনা থেকেই শিক্ষা নিয়ে আত্মরক্ষার তাগিদে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন।