বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সামনে পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচন। তার পূর্বে রাজ্যে একাধিক দুর্নীতি মামলায় ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের পর এবার দলীয় পদ পাওয়ার জন্য চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তাঁর সঙ্গে এক নিকট আত্মীয় জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ দলের একাংশের।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল মুর্শিদাবাদ। জেলার তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি গুরুতর অভিযোগ তুলেছে তাঁর দলেরই কর্মীরা। অভিযোগ, নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি দলে পদ পেতে গেলেও ৫০ লক্ষ টাকার মতো বিপুল অর্থের চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল নেতা মুর্শিদ নওয়াজ বলেন, “এলাকায় সভাপতি বদল হওয়ার সময় আবু তাহের খান এবং ওনার ভাগ্নে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই সময় ৫০ লক্ষ টাকার চাঁদা দেওয়ার কথাও জানানো হয়।”
আবার, অপরদিকে আরও এক তৃণমূল কর্মী জানান, “নির্বাচনে সৌমিক হোসেন যখন আমাদের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিল, তখন ওকে হারানোর জন্য আমাদেরকে জোটের হয়ে ভোট দিতে বলেছিল আবু তাহের খান।” স্বাভাবিকভাবেই এ সকল চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠার ফলে ক্রমশ ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসক দল। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সদস্য মুর্শিদ নওয়াজের পথেই হেঁটেছেন এলাকার তৃণমূল সভাপতি শাহ আলম সরকার। তিনি বলেন, “আমি আগে থেকেই বলেছিলাম যে আমাদের এখানে সৌমিককে হারানোর জন্য দলের অন্দর থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে।”
তবে যার বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ, সেই সাংসদ আবু তাহের খান এদিন মুখ খুললেন। তাঁর দাবি, “আমাদের এখানে পঞ্চায়েত সমিতির যে সভাপতি রয়েছে, ওনার কথাতেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। মুর্শিদ নওয়াজ থেকে শুরু করে অন্যান্য অনেক কর্মীরাই গত কয়েক মাস ধরে এলাকাছাড়া। এখানকার তৃণমূল সভাপতি এই কাজ করে চলেছেন। ফলে তাদেরকে এখানে থাকতে দেওয়ার জন্য এই সকল কথাবার্তা বলতে বলা হয়েছে।”
যদিও এই প্রসঙ্গে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। এদিন গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস দলের ভেতর সার্কাস চলছে। কে কি করছে, কোথায় যাচ্ছে, তা কেউ জানে না।”