সাতেপাঁচে থাকেন না, সেই অরিজিতের বিরুদ্ধেই থানায় দায়ের অভিযোগ! কী করেছেন ‘গেরুয়া’ গায়ক?

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে দেশের স্বনামধন্য এবং জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। তাঁর অনবদ্য গানের পাশাপাশি নম্র স্বভাব অনুরাগীদের আরোই প্রিয় করে তুলেছে। এহেন অরিজিতের বিরুদ্ধেই এবার দায়ের হল অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে আইনের দ্বারস্থ হলেন বোলপুরের এক ব্যক্তি। অভিযোগ এনে আইনের দ্বারস্থ হলেন বোলপুরের এক ব্যক্তি।

অরিজিতের (Arijit Singh) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের থানায়

অরিজিতের (Arijit Singh) বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থা করার অভিযোগ দিয়ে হয়েছে। অভিযোগকারী বোলপুর নিবাসী কমলাকান্ত লাহা। অভিযোগ, নিজের দেহরক্ষীদের দিয়ে ওই ব্যক্তিকে শারীরিক বাবা হেনস্থা করেছেন ‘গেরুয়া’ গায়ক। ঠিক কী ঘটেছে ঘটনাটা?

Allegations against arijit singh

কী অভিযোগ উঠেছে: কর্মসূত্রে মাঝে মাঝে বোলপুর যেতে হয় অরিজিৎকে (Arijit Singh)। সম্প্রতি এমনই এক শুটিংয়ের কাজে তিনি গিয়েছিলেন বোলপুরে। গত ১৩ অগাস্ট শান্তিনিকেতনের তালতোর এলাকায় শুটিং চলছিল বলে খবর। সে সময়েই নাকি বাইক নিয়ে নিজের কাজে কোপাইয়ের দিকে যাচ্ছিলেন কমলাকান্ত। মাঝে তাঁর পথ আটকায় অরিজিতের দেহরক্ষীরা। জানা গিয়েছে, কমলাকান্ত নিজেও একজন শিল্পী, পেশায় বাদ্যযন্ত্রের যন্ত্রাংশ নির্মাতা তিনি।

আরও পড়ুন : DA নয়, রাজ্য সরকারি কর্মীদের অন্য দাবি মেনে নিল রাজ্য, খুশি সকলে

কী বক্তব্য শিল্পীর: অভিযোগ, শুটিং চলছে বলে তাঁকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে বলেছিলেন অরিজিতের (Arijit Singh) দেহরক্ষীরা। কিন্তু পাঁচ মিনিট পরেও না ছাড়ায় তিনি দেহরক্ষীদের তাঁকে যেতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর কর্মস্থলে যেতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাঁকে আরও ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে বলায় তিনি জোর করে এগোতে যান। তখনই তাঁকে চ্যাংদোলা করে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এমনকি শান্তিনিকেতন থানার গাড়িতেও নাকি তুলে দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে।

আরও পড়ুন : টানা ১২ দিন ধরে চলবে পরীক্ষা, প্রকাশ্যে উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমিস্টারের রুটিন

এরপরেই শান্তিনিকেতন থানায় প্রথমে মৌখিক আর তারপর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি অরিজিৎ এবং তাঁর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, ধস্তাধস্তিতে নিজের হাতের সোনার আংটিও হারিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় এখনও অরিজিতের (Arijit Singh) তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ওই ব্যক্তির বক্তব্য, তাঁর কাজের চাপ ছিল বলেই তিনি যেতে চেয়েছিলেন। তাতে তাঁর হাত মচকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে তিনি মর্মাহত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান বীরভূমের পুরস্কার সুপার।