বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একসময় ছিল জোটসঙ্গী। তবে সেসব এখন অতীত। পুরোনো সমীকরণ ভুলে এবার কংগ্রেসকে (Congress) হারাতে শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে (Siliguri Bar Association Election) বাম-তৃণমূল (CPM-Trinamool) আঁতাত। জানা গিয়েছে, ১৬ আসন বিশিষ্ট এই বারের নির্বাচনে তৃণমূল ৮ ও বাকি ৮ আসনে লড়াইয়ে নেমেছে বামেরা। অথচ একসময় সবুজে ঘেরা এই শিলিগুড়ি পুরসভায় শাসকদল তৃণমূলকে আটকাতে কংগ্রেসের মেয়র, ডেপুটি মেয়রকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করেছিল বাম শিবির।
জানিয়ে রাখি, আগামী ২৯ এপ্রিল বারের নির্বাচন। গতকাল ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। সেখানেই দেখা যায় সভাপতি পদে বামেদের প্রার্থী কোবিন্দ্র ভৌমিক মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। আর সেই আসনে দাঁড়ান তৃণমূল প্রার্থী। অন্যদিকে, সম্পাদক পদ থেকে তৃণমূলের আইনজীবী সেলের সদস্য অমিতাভ ভট্টাচার্য মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়ে বাম শিবিরকে জায়গা করে দেয়। এমনটাই অভিযোগে সরব কং নেতৃত্ব। তবে ১৬ আসনেই নিজেদের প্রার্থী দিয়েছেন তারা।
কংগ্রেসকে হারাতেই নাকি এই জোট। অথচ, রাজ্য রাজনীতিতে বাম এবং কংগ্রেসের জোটের সূত্রপাত এই শিলিগুড়ি মডেল থেকেই ঘটেছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে শিলিগুড়ি বারের নির্বাচনে জোট করে প্রতিবারই বাম এবং কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে। অন্যদিকে, বেনজির এই লাল-সবুজ জোটকে অশুভ জোট বলে কটাক্ষ করে কংগ্রেসের আইনজীবী গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, এখানে আমরাই জিতব।
তবে জোটের এই প্রসঙ্গ কিন্তু একেবারেই হেসে উড়িয়ে দিয়েছে বাম, তৃণমূল উভয়পক্ষই। এই নিয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবে বলেন, “বরাবর বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে দল। রাজনীতির ৫০ বছরে এসে বামেদের সঙ্গে হাত মেলাতে যাবো কেন? আমরা নিজেদের শক্তিতেই লড়বো।”
একই দাবি সিপিএম সদস্যেরও। জোট প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা জীবেশ সরকারের কথায়, “রাজ্য এবং দেশে লড়াই তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে। বারের নির্বাচনে কেন সমঝোতা করতে যাব? কোনো প্রশ্নই নেই। যদি দলের কোনো আইনজীবী সেলের সদস্য জোট করে থাকে, তা প্রমাণিত হলে দলীয় আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে, বিতর্কে সামিল হয়েছে বিজেপিও। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের দাবি, “সিপিএমের এই তৃণমূলের সঙ্গে জোট কোনো নতুন ঘটনা নয়। দীর্ঘদিন ধরেই তলায় তলায় জোট রয়েছে। এবারে সেটা সামনে এল। তৃণমূল, সিপিএমের এই জোটকে কাঁঠালের আমসত্ব বলেও খোঁচা মারেন তিনি।