খাদ্যরসিক বাঙালীরা জমিয়ে খেতে ভালোবাসে । আর শীতে শুরু হয় খাদ্যমেলার ম্যারাথন। বছরের এই দুটো মাসই জাঁকিয়ে পড়ে শীত , আর সারাবছর প্যাচপ্যাচে গরমে খাওয়া তো দূর পেটের সমস্যায় নাজেহাল হয়ে পড়ে সবাই। তাই শীতের এই দুটো মাস জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করা একটা স্বর্গ সম অনুভূতি। হরেক সবজি, মাছ,মাংস,ফল,কেক, ফাস্টফুডের পাশাপাশি চলে ঘরে বানানো হরেক রকমের খাবার।
আর এইসব খাবারের মধ্যে অন্যতম হল আলুর পরোটা। এমনিতেই বাঙালীর সাথে আলুর এক্তা আত্মিক যোগ আছে। তরকারি, ডাল, মাছ মাংস সবেতেই ব্যাবহার হয় আলুর। আর শীতের সকালে গরম গরম আলুর পরোটা সাথে আলুরদম আর শেষপাতে জয় নগরের মোয়া, ব্যাস জমজমাট ব্যাপার। সাধারণত আলুর পরোটা পাঞ্জাবীদের জনপ্রিয় খাদ্য, আর সেখান থেকে বাঙালীরাও এখন বেশ চেটেপুটে আলুর পরোটা খাওয়ার আনন্দ নেয়।কিন্তু এই আলুর পরোটা যে আপনার শরীরে কি মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছে সেটা জানলে পরে একটু চিন্তার ভাঁজ পড়বে কপালে। আলুর পরোটায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম , স্টার্চ , পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট বেশী পরিমানে শরীরে মিশলে তা মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি পরোটায় থাকা স্টার্চ যা পেটের ক্ষতি করতে পারে। পেটের গোলমাল বাড়তে পারে এবং হজমশক্তির গল্মাল পর্যন্ত হতে পারে। তাই পরোটায় থাকা এই স্টার্চ আমাদের শরীরের পক্ষে সাংঘাতিক ক্ষতিকর।
গবেষণার ফলস্বরুপ জানা গেছে কার্বোহাইড্রেট বেশী পরিমাণে শরীরে যাওয়ার ফলে শরীরে স্থুলতা বেড়ে যায় । আর এই স্থুলতা বা শরীরে মেদ জমার ফলে রক্তের চাপ বেড়ে যায় । এমনকি উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। তাই এতরকমের শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আগে আজই আলুর পরোটা খাওয়ার নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তাই আলুর পরোটা খাওয়ার সুফল আর কুফলের কথা মাথায় রেখে আজই নিজের ইচ্ছেয় রাশ টানা প্রয়োজন ।