বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার বিষয়ে এবার তৎপরতা দেখাল আমেরিকা। শুধু তাই নয়, আমেরিকা এটাও স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, তারা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের সুরক্ষা চায়। বর্তমানে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো উদযাপন করছে। এদিকে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং তাঁর অগাস্টে ভারতে চলে আসার পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলার ঘটনা ঘটছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকার এই বক্তব্য সামনে এসেছে।
বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে তৎপর আমেরিকা:
বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার তাঁর দৈনিক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, “অবশ্যই, আমরা বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত দেখতে চাই।” ম্যাথিউ মিলারকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের কিছু ধর্মীয় কট্টরপন্থীদের হুমকির বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যার জবাবে তিনি এই কথা বলেন।
কি জানিয়েছে ভারত: এদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার ওই দেশটিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারত। জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে (Bangladesh) হিংসাত্মক বিক্ষোভে হিন্দুসহ ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ধর্মীয় কট্টরপন্থীদের ক্রমবর্ধমান হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে টিম ইন্ডিয়া? PCB প্রধান দিলেন বড় বিবৃতি
মোহাম্মদ ইউনূস প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন: জানিয়ে রাখি, গত অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে ফোনে কথা বলেছিলেন এবং সেখানে তিনি হিন্দুদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতে এসেই সুর নরম! পর্যটকদের উদ্দেশ্যে মলদ্বীপে বেড়াতে যাওয়ার আর্জি মুইজ্জুর, জানালেন…..
প্রধানমন্ত্রী মোদী এরপর টুইটারে একটি পোস্ট করেন এবং লেখেন, “প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। তিনি বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেছেন। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বাংলাদেশের হিন্দু ও সমস্ত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছেন।”