বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলা হয়েছে সাফ জানালো আমেরিকা, চাপে হাসিনা সরকার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপূজায় ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে অশান্তির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। কুমিল্লার একটি দুর্গা মণ্ডপে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরান রাখাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া অশান্তি রীতিমত ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের জেলায় জেলায়। প্রায় দশটি জেলা জুড়ে চলে তাণ্ডব। ভেঙে দেওয়া হয় একাধিক পুজো মণ্ডপ, প্রতিমা। শুধু দুর্গাপ্রতিমাই নয় অন্যান্য বেশকিছু মন্দিরেও হামলা চালানো হয়। কয়েকদিন আগেই নোয়াখালীর ইসকন মন্দিরে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃত্যুও হয়েছে এক ব্যক্তির। এরআগেও প্রাণ হারিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন, সব মিলিয়ে এই অশান্তির জেরে ম্লান হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজোর মিলন উৎসব।

যদিও ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন এবং জানিয়েছেন, যারা হামলা চালিয়েছে তাদের ধর্ম বিচার করা হবে না প্রত্যেকেই শান্তি পাবে। অন্যদিকে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বুদ্ধিজীবীরাও। কিন্তু তাও নানাভাবে অশান্তির ঘটনা বেড়েই চলেছে। bdnews24.com এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এবং কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে সামনে এসেছে একাধিক ভাংচুরের ঘটনা।

এবার বাংলাদেশের এই ঘটনা সম্পর্কে মুখ খুলল আমেরিকাও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সরাসরি জানানো হলো তদন্তের আর্জি এবং একই সাথে ধর্ম পালনকে মানুষের মানবাধিকার বলেও ঘোষণা করা হলো আমেরিকার তরফে। এ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, “দুর্গাপুজোর সময় হিন্দু মন্দির এবং প্রতিষ্ঠানে সম্প্রতি যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, তার নিন্দা করছি আমরা। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। প্রশাসনকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আর্জি জানানো হচ্ছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা হল মানবাধিকার।”

বাংলাদেশের এই ঘটনা আন্তর্জাতিক মঞ্চে রীতিমত প্রভাব ফেলেছে। বিডিনিউজের আরেকটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে ২০১৩ সাল থেকে প্রায় তিন হাজারেরও বেশি মানুষের উপরে আক্রমণ চালানো হয়েছে বাংলাদেশে। এ নিয়ে যথেষ্ট শোরগোল শুরু হয়েছে ভারতেও। এর আগেই কলকাতার বিভিন্ন পূজা কমিটিগুলি ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিল। এমনকি মুখ খুলেছেন বুদ্ধিজীবীরাও। এখন আমেরিকার এই বক্তব্য নতুন কি প্রভাব ফেলে সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

Avatar
Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর