মালিকের ভুলে প্রাণ যায় এক শূকর ছানার, প্রতিশোধ নিতে প্রভুকে খুবলে খেয়ে নিল শূকরের দল

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পৃথিবীতে বহু নৃশংস মৃত্যুর ঘটনা নিবন্ধিত আছে। কিন্তু আজ আপনাদের যে ঘটনা শোনাবো তা সত্যিই বিরল। সন্তানের মৃত্যুর বদলা নিতে মালিককে খেয়ে প্রতিশোধ তুলেছিল একদল শূকর। ঘটনাটি আজ থেকে বেশ কিছুদিন আগের। খামার ঘরে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় উদ্ধার হয় টেরি ভ্যান্স গার্নারের মৃতদেহ। প্রাথমিক অবস্থায় হার্ট অ্যাটাককে মৃত্যুর কারণ ধরা হলেও পরে জানা যায় টেরির পোষ্য শূকররাই তাকে হত্যা করে।

টেরি ভ্যান্স গার্নার ছিলেন একজন আমেরিকান সৈনিক। ভিয়েতনাম যুদ্ধে তিনি আমেরিকার হয়ে যুদ্ধ করতে যান। সৌভাগ্যবশত সেই যুদ্ধ থেকে জীবন্ত অবস্থায় ফিরে আসেন দেশে। দেশে ফেরার পর সেনাবাহিনীর কাজ ছেড়ে দিয়ে মন দেন কৃষি কাজে। পশুদের খামার তৈরি করে চাষবাস আরম্ভ করার চিন্তা ভাবনা করেন তিনি। বেশ বড় আকারেই টেরি আরম্ভ করেন শুকর চাষ। নিজের পোষ্যদের প্রতি খুবই যত্নবান ছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি কখনো কল্পনাও করতে পারেনি যুদ্ধের হাত থেকে বেঁচে এসে নিজের পোষ্যদের হাতে একদিন তাকে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করতে হবে।

টেরির স্ত্রী জানিয়েছেন, একদিন সন্ধ্যায় শুকর গুলিকে খেতে দিতে যাবার জন্য টেরি খোঁয়াড়ে গিয়েছিলেন। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। পরের দিন বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও স্বামীর সন্ধান পাননি টেরির স্ত্রী। এরপর সন্ধান চালানোর জন্য তিনি পৌঁছন খোঁয়াড়ে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন,খোঁয়াড়ের মেঝেতে ছড়িয়ে রয়েছে মানুষের হাড়ের টুকরো ও কিছু দাঁত। এই দৃশ্য দেখে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। এরপর পুলিশ আসলে শুরু হয় তদন্ত।

তদন্তের পর পুলিশ জানায়, শুকরদের খাবার দিতে এসে হার্ট অ্যাটাক হয় টেরির। এরপর তিনি মেঝেতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান। তখন তার পোষ্য শূকররা তার দেহ খুবলে খায়। ৬৯ বছর বয়সী টেরির মৃত্যুতে তার স্ত্রী জানিয়েছেন, “টেরি একবার ভুল করে একটি শুকর ছানাকে মেরে ফেলেন। তারপর ওই শূকরের দল একবার টেরির উপর হামলাও চালায়। তখন টেরি শুকর গুলিকে মেরে ফেলতে চান। কিন্তু পরে ভাবনা বদল করে তিনি তাদের আরো ভালোভাবে লালন পালন করতে থাকেন।” এর থেকে টেরির পরিবারের সদস্যরা অনুমান করছেন সেই ছানার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে শূকরের দল মেরে ফেলেছে টেরিকে।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর