বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ একের পর এক বিরোধী ঐক্য নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য ‘বিরোধী ঐক্য’কে রীতিমতো তোপ দাগেন। তিনি কটাক্ষ করে বলেন এটা নিছকই টিআরপি বাড়ানোর কৌশল।
অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘চন্দ্রশেখর রাও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস— ধরুন এই চারটি দল মোদি বনাম বিরোধী ফর্মুলার অধীনে একত্রিত হয়েছে। ভাবুন তো চন্দ্রশেখর রাও যদি উত্তরপ্রদেশে জনসভা করেন, তাতে কি আদৌ কোনও প্রভাব পড়বে? তেলেঙ্গানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা হলে কি কিছু যায় আসে? নাকি অখিলেশ যাদব সাহেব যদি বাংলায় সভা করেন, তাতে কোনও প্রভাব পড়বে?’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, এই নেতারা এবং তাঁদের দল কেবল নিজ নিজ রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তিনি বলেন, ‘এই ঐক্যের কোনও মানে নেই। এঁরা একে অপরকে নেতা হিসাবেই বিবেচনা করে না। জোটের স্বার্থে একে অন্যকে একটি আসনও ছেড়ে দিতে প্রস্তুত নন।’
অমিত শাহ আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি টিআরএস তেলঙ্গানায় মমতাকে পাঁচটি আসন ছাড়ে তবে লড়াই হবে। সমাজবাদী পার্টিরও উত্তরপ্রদেশ আসন ছেড়ে দেওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে মমতাকেও বাংলায় ৫-৫টি আসন ছেড়ে দিতে হবে সপা, টিআরএসকে। তবেই তো তারা ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু বিজেপির সামনে সবাই নিজেদের লড়াই লড়বে, আবার বলবে আমরা সবাই এক। কী করে তাঁরা এক হলেন?’
অপরদিকে, রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সদস্য বাতিল নিয়ে তুলকালাম দেশীয় রাজনীতি। এরই মধ্যে পুরনো ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন তিনি দাবি করেন যে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন গুজরাটে (Gujarat) একটি ভুয়ো মামলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘ফাঁসানোর’ জন্য তাঁর উপর ‘চাপ’ সৃষ্টি করে। সেই সময় তদন্তকারী সংস্থা তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে। সেই সময়ে কেন্দ্রে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার (UPA Government) ছিল বলে মনে করিয়ে দেন শাহ।