বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৯ জানুয়ারি রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের। এরপর ৩০ তারিখ বনগাঁর ঠাকুরনগরে মতুয়াদের উদ্দেশ্যে সভা করার কথা ছিল ওনার। জানুয়ারি মাসের শেষ দিন ৩১ তারিখে হাওড়ার ডুমুরজলায় বিজেপির মেগা যোগদান মেলায় তৃণমূল ত্যাগীদের হাতে পতাকা তুলে দেওয়ার কথা ছিল ওনার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ওনার সফর বাতিল হয়ে যায়।
দিল্লীতে ইসরায়েলের দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের জের সুরক্ষার দিক থেকে ওনার বঙ্গ সফর বাতিল করা হয়। ওনার বঙ্গ সফর বাতিল হওয়ার ফলে মতুয়াদের মধ্যে হতাশা আর ক্ষোভ দুটোই দেখা যায়। এরপর অমিত শাহ নিজে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে ফোন করে ঠাকুরনগরের মঞ্চ না খোলার কথা বলেন। তিনি জানান আমি খুব শীঘ্রই আসছি।
অমিত শাহের বঙ্গ সফর বালিত হওয়ার পর হাওড়ার ডুমুরজলার যোগদান মেলাও ফিকে হয়ে যায়। যদিও ওই যোগদান মেলার একদিন আগেই তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতা/বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, রুদ্রনীল ঘোষ, রথীন চ্যাটার্জী, পার্থসারথি চক্রবর্তীরা দিল্লীতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে বিজেপিতে নাম লেখান।
২৯ তারিখ অমিত শাহের সফর বাতিল হওয়ার পর বঙ্গে ওনার নতুন সফরের কর্মসূচি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সুত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী ৮ এবং ৯ ফেন্রুয়ারি বাংলায় থাকবেন অমিত শাহ। তবে শুধু অমিত শাহই নন, ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলায় একের পর এক বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আসতে চলেছেন।
৬ ফেব্রুয়ারি বাংলায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি জেপি নাড্ডা। মালদহ থেকে তিনি বিজেপির রথযাত্রার শুভ সূচনা করবেন। এরপর ঠিক তাঁর একদিন পরেই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি হলদিয়ায় ইন্ডিয়ান অয়েলের একটি অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। আর সেদিন রাতেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি রাজ্যে থাকবেন। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে রাজ্যে এই হাইভোল্টেজ রাজনৈতিক কার্যক্রমের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।