বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম সারা আলি খান (sara ali khan)। সবসময় হাসিখুশি থাকতেই ভালবাসেন তিনি। অনেক ছোট বেলায় বাবা মায়ের বিচ্ছেদ দেখেছিলেন সারা। কিন্তু তাঁর মতে, দুটো মানুষ আলাদা থেকে যদি ভাল থাকে তাহলে এর থেকে ভাল আর কিছু হয় না।
এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, সইফের (saif ali khan) সঙ্গে থাকার সময় হাসতে ভুলে গিয়েছিলেন মা অমৃতা সিং (amrita singh)। বিচ্ছেদের পর অনেকটা হাসি খুশি দেখিয়েছিল তাঁকে। এবার তিনি আরেকটি ভয়াবহ ঘটনার কথা জানালেন, যেখানে সইফের জন্য প্রাণ সংশয় হতে বসেছিল অমৃতার!
তারকাদের জন্য আয়োজিত একটি টক শোয়ে অতিথি হয়ে এসেছিলেন সারা। সেখানেই এই ঘটনার কথা জানান তিনি। এ ঘটনা যে সময়ের, তখনো সইফ অমৃতার মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়নি। সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছিলেন তাঁরা। একদিন দুজনে মিলে ঠিক করেন, বান্ধবী নীলু মার্চেন্টের সঙ্গে মজা করবেন।
কিন্তু এই মজা যে পরে সাজা হয়ে উঠতে পারে তা বুঝতেও পারেননি অমৃতা। ঠিক ছিল, সইফ অমৃতা দুজনেই মুখে জুতোর কালি লাগিয়ে রাতের অন্ধকারে চুপি চুপি বান্ধবীর বেডরুমে ঢুকবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সইফ নিজের স্ত্রীকে ঠেলে ভেতরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন।
ভেতরে তখন নিজের স্বামীর সঙ্গে ঘুমাচ্ছিলেন ওই বান্ধবী। জেগে উঠে মুখে কালি মাখা অমৃতার দিকে বন্দুক তাক করেছিলেন নীলুর স্বামী! তখনি ভয় পেয়ে দু হাত উপরে তুলে অমৃতা চেঁচিয়ে ওঠেন, “গুলি কোরো না! আমি ডিগ্গি!” ঘটনাটা মজার ভঙ্গিতে বললেও পরিস্থিতি যে কতটা ভয়ের ছিল তা সহজেই অনুমেয়।
সারা আলি খান জানান, তিনি কল্পনা করেন নিজের বাবা মাকে মুখে জুতোর কালি মাখা অবস্থায়। তাঁর নিজেরও একবার এমন মজা করার ইচ্ছা রয়েছে বলে জানান সারা। তিনি বলেন, “আমিও জুতোর কালি মেখে কারোর ঘরে ঢুকতে চাই, আর এমন ভাবেই প্রায় মরতে বসতে চাই।”