বাংলাহান্ট ডেস্ক : বৃহস্পতিবার, ৩রা নভেম্বর, জায়গীরচকে এক যুবক তাঁর বাড়িতে আত্মঘাতী হন। এবং ময়না থানার পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেছে। বিয়ের বাইরে এই যুবকের পরকীয়ার সম্পর্ক থাকার জন্যই শেষ পর্যন্ত এই যুবক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন বলে জানা গেছে।
সূত্রের খবর, তাঁর বাড়ি ময়না থানার গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের জায়গীরচকে। যুবকের নাম বিশ্বজিৎ জানা, তাঁর বয়স ২৪। বহুদিন ধরে তাঁর সাথে তাঁর পাশের বাড়ির বৌদির প্রেম পর্ব চলছিল। এমনকী তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও ছিল। কিন্তু যখন এই বৌদি তাঁকে বিয়ের জন্য জোর করেন, তখন সামাজিক লজ্জার ভয়ে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন।
পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই পাশের বাড়ির বৌদি পাপিয়া মাপারুর সঙ্গে বিশ্বজিতের সম্পর্ক। তাঁর বাড়ি পিংলা থানা অঞ্চলে। ধীরে ধীরে তাঁদের এই পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং পাপিয়া তাঁকে জোর করতে থাকে বিয়ের জন্য। আরও জানা যায় তাঁদের এই অবৈধ বা বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক বহুদিনের। এবং এই নিয়ে একাধিকবার সালিশি সভার বৈঠকও হয়েছে।
বুধবার, এই মহিলা মাঝরাতে বিশ্বজিতের বাড়ি যান, এবং তাঁকে জোর করতে থাকেন বিয়ের জন্য। এই নিয়েই শুরু হয় চরম শোরগোল। এই অশান্তির জেরেই পাপিয়া ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কেটে ফেলেন, আর তারপরেই পরের দিন সকালে উদ্ধার হয় বিশ্বজিতের ঝুলন্ত মৃতদেহ। পাপিয়া অর্থাৎ তাঁর পাশের বাড়ির বৌদির চাপেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন এবং গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন বলে জানা যাচ্ছে স্থানীয় সূত্রে।