বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে ভারত (India)। শুধু তাই নয়, এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুর দুর্গম অংশে সফলভাবে পৌঁছে গিয়েছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। বিশ্বের আর কোনো দেশ পৌঁছতে পারেনি সেখানে। আর এইভাবেই এক অনন্য ইতিহাস তৈরি করেছে আমাদের দেশ। এদিকে, চন্দ্রযান-৩-এর এই বিরাট সফলতা হাসিলের পর শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন ISRO (Indian Space Research Organisation)-র বিজ্ঞানীরা। যেভাবে স্বল্প খরচের মাধ্যমে চন্দ্রজয় করেছেন তাঁরা তা প্রত্যক্ষ করে অবাক হয়েছে সমগ্র বিশ্ব।
যদিও, এরপরই বিভিন্ন রকমের ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলিতে। যেগুলির মধ্যে বেশকিছু ভিডিও আবার পুরোনোও। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা ঠিক সেই রকমই এক ভিডিওর প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব। যেটির পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমতো গর্জে উঠেছেন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনুকবের তথা মাহিন্দ্রা গ্রুপের কর্ণধার আনন্দ মাহিন্দ্রা। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই তিনি ওই ভিডিওটি শেয়ার করে নিজের বক্তব্য সবার সামনে উপস্থাপিত করেছেন।
কি বলা হয় সেই ভিডিওতে: ভাইরাল হওয়া বিবিসি সংবাদমাধ্যমের ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একজন সাংবাদিক সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতের এত টাকা আদৌ মহাকাশ গবেষণায় খরচ করা উচিত কি না এই বিষয়ে। তিনি বলেন, “ভারতে এখনও বিপুল পরিমাণ দারিদ্র রয়েছে। এমনকি, ৭০ কোটিরও বেশি মানুষের বাড়িতে শৌচাগার নেই।” এমতাবস্থায়, সেই দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ মহাকাশ গবেষণায় খরচ করা ঠিক কি না, এই প্রশ্নটিই তোলেন ওই সাংবাদিক।
আরও পড়ুন: ঘুম উড়েছে পড়শি দেশের! এবার ভারতের এই সেক্টর টক্কর দেবে চিনকে, সামনে এল বড় তথ্য
এদিকে, এই ভিডিওটির পরিপ্রেক্ষিতেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানান আনন্দ মাহিন্দ্রা। পাশাপাশি তিনি টুইটারে লেখেন, ভারতের দারিদ্রের ক্ষেত্রে অনেকটাই দায়ী ইংরেজরা। কারণ উপনিবেশ থাকাকালীন ইংরেজরা বিপুল পরিমাণে ধনসম্পদ ভারত থেকে ব্রিটেনে নিয়ে যায়। এমনকি, একনাগাড়ে ২০০ বছর ধরে এই লুঠতরাজ চালিয়ে যায় তারা।
আরও পড়ুন: তিন মাস ধরে বেতন না পেয়েই চন্দ্রযান-৩ মিশন সম্পন্ন করেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা? সামনে এল আসল সত্য
এছাড়াও, তিনি আরও লেখেন যে, কোহিনুর হিরে চুরি করাই ইংরেজদের সবচেয়ে বড় চুরি নয়। সবথেকে বড় বিষয় হল ভারতীয়দের মনোবল ভেঙে দেওয়া। তারা যে নতুন করে কিছু করতে পারে, সেই মনোবলটাই ভেঙে দিয়েছিল ইংরেজরা। ভারতীয়দের ছোট করার পাশাপাশি ভারতীয়রা কিছু পারে না এই বিষয়টিকেই বারবার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে তারা।
Really?? The truth is that, in large part, our poverty was a result of decades of colonial rule which systematically plundered the wealth of an entire subcontinent. Yet the most valuable possession we were robbed of was not the Kohinoor Diamond but our pride & belief in our own… https://t.co/KQP40cklQZ
— anand mahindra (@anandmahindra) August 24, 2023
সর্বোপরি আনন্দ মাহিন্দ্রা আরও বলেন, চাঁদে পাড়ি দেওয়ার বিষয়টি হল সেই হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার ধাপ। যেটা প্রয়োজন ছিল। এদিকে, ইতিমধ্যেই ওই ভিডিওটি তুমুল ভাইরাল হতে শুরু করেছে। এছাড়াও, আনন্দ মাহিন্দ্রার এহেন প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।