বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্পষ্টবাদী বলে খ্যাতি আছে পরিচালক অনীক দত্তের (Anik Dutta)। নিজের ছবির মাধ্যমে শাসকের দিকে পরোক্ষে কটাক্ষের আঙুল তুলতে তিনি ডরান না। সেই ছবির প্রদর্শনী বন্ধ হয়ে গেলেও সুর চড়ান তিনি। বিভিন্ন ইস্যুতে যখন বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবী চুপ থেকেছেন তখন অনীক দত্ত ঠিকই প্রতিবাদ করেছেন। তবে এবারে তাঁর কাণ্ডে নিন্দাই হচ্ছে বেশি।
শনিবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হন বুদ্ধিজীবীরা। রাজ্যে ফের পরিবর্তনের ডাক দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল প্রেস ক্লাবে। সেই বৈঠকেই মেজাজ হারান অনীক দত্ত। এক সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ব্যবহার করে বসেন তিনি।
শনিবার নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদ করে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন বুদ্ধিজীবীরা। উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবদূত ঘোষ, মানসী সিনহা, চন্দন সেন, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, বাদশা মৈত্র, সব্যসাচী চক্রবর্তী, পরিচালক অনীক দত্ত, দেবজ্যোতি মিশ্র, আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যরা।
সমস্যাটা হয় তৃণমূলের মুখপত্রের এক সাংবাদিক যখন বাম আমলের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সে সময়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে সব স্তরেই বাম নেতা অনিল বিশ্বাসের হস্তক্ষেপ নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন ওই সাংবাদিক। শুনেই মেজাজ হারান পরিচালক। চিৎকার করে ওঠেন, “চোপ! একদম চুপ করে থাকুন!”
প্রথমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও লাভ হয়নি। শেষে অনীক দত্তের হাত থেকে মাইক কেড়ে নেওয়া হয়। অপ্রত্যাশিত ঘটনায় হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন উপস্থিত সকলেই। ভেঙে যায় বৈঠকও। অবশ্য অনীকের হয়ে তখনি ক্ষমাপ্রার্থনা করেছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। কিন্তু নিজের অবস্থান থেকে নড়েননি পরিচালক।
বাম সমর্থক অনীক দত্ত মাস কয়েক আগেও সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। তাঁর পরিচালিত ‘অপরাজিত’ নন্দনে শো না পাওয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। এবার সরাসরি রাজ্যের শাসক দলের মুখপত্রের সাংবাদিককেই আক্রমণ করে বসলেন অনীক। তাঁর এই আচরণে নিন্দায় মুখর হয়েছেন অনেকেই।