বাংলাহান্ট ডেস্ক: শাহরুখ খান (Shahrukh Khan), শুধু এই নামটাই এক নিমেষে বদলে দিতে পারে অনেক কিছু। যাঁর ভক্ত দক্ষিণের প্রভাস, যশ থেকে শুরু করে টলিউডের অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya) পর্যন্ত। কিং খানের চার বছর পর কামব্যাক নাড়িয়ে দিয়েছে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিকে। উন্মাদনার ঢেউ পৌঁছেছে দক্ষিণেও। আর বাংলায় তো রীতিমতো পাঠান ঝড় চলছে। বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের ছবির জন্য শো তুলে নেওয়া হয়েছে একাধিক বাংলা ছবির।
একদিকে যেমন পাঠান দেখার জন্য টিকিটের লাইন পড়ছে প্রেক্ষাগৃহের বাইরে, তেমনি টলিউডে হিন্দির দাপটের বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একাধিক অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, হল মালিক ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শাহরুখের ছবির বিরুদ্ধে। কিন্তু অনির্বাণের বক্তব্য অন্য রকম। তাঁর মতে, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে শাহরুখের এই কামব্যাকের খুব দরকার ছিল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনির্বাণকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পাঠানের জন্য কি বাংলা ছবির বাজারের ক্ষতি হচ্ছে? উত্তরে অভিনেতা বলেন, তাঁর মতে, শাহরুখ খান দেশের ‘শেষ বিগেস্ট সুপারস্টার’। সেই মানুষটার কামব্যাক ছবি পাঠান। অনির্বাণের কথায়, শাহরুখ নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান। বর্তমান ভারতে পাঠান এর মতো ছবি হিট হওয়ার দরকার ছিল। আর পাঠান হিট হওয়াটা শাহরুখের উপযুক্ত সম্মান বলে মনে করেন অনির্বাণ।
কিন্তু পাঠানের জন্য একাধিক প্রেক্ষাগৃহে বাংলা হাউজফুল ছবি শো পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। পরিচালক, অভিনেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তবে অনির্বাণ বলেন, বাংলা ছবির ইতিহাস তিনি যতটুকু জানেন তাতে নিজের ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে তিনি গর্বিত।
তাঁর কথায়, পৃথিবীর সব ইন্ডাস্ট্রির মতো এখানেও অভাব অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালটা শুধু বলিউডের জন্য নয় টলিউডের জন্যও খুব ভাল যায়নি। কিছু ছবি যেমন চলেছে, কিছু ছবি আবার চলেনি। তবে নিজের ইন্ডাস্ট্রির লেগাসি নিয়ে তিনি গর্বিত, মন্তব্য অনির্বাণের।