বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশের (India) যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত এবং গতিশীল করে তোলার লক্ষ্যে একের পর এক পরও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেশজুড়ে তৈরি হচ্ছে এক্সপ্রেসওয়ের নেটওয়ার্ক। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার পুণে-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসওয়ের (Pune-Bengaluru Expressway) মাধ্যমে সড়কপথে দুই রাজ্যের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে। এই এক্সপ্রেসওয়ে ভারতমালা প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পুণে-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরে, ১৮ ঘন্টার যাত্রা কমে ৭ ঘন্টা হবে।
জানিয়ে রাখি যে, ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পুণে-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসওয়ে মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকে নির্মিত হচ্ছে। যেটি মোট ১২ টি জেলার মধ্য দিয়ে যাবে। এমতাবস্থায়, মহারাষ্ট্রের ৩ টি জেলা এবং কর্ণাটকের ৯ টি জেলায় এই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। পাশাপাশি, এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য হল পুণে, মুম্বাই এবং বেঙ্গালুরুর মধ্যে সংযোগ উন্নত করা। এতে ভ্রমণের সময় কমবে এবং এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নও হবে।
কমে যাবে দূরত্ব: এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ফলে ২ রাজ্যের মধ্যে দূরত্ব ৯৫ কিলোমিটার কমে যাবে। বেঙ্গালুরু থেকে পুণে যেতে বর্তমানে ১৮ থেকে ১৯ ঘন্টা সময় লাগে। তবে, এই এক্সপ্রেসওয়ের ফলে ওই সময় কমবে ৭ ঘণ্টা। এছাড়াও, জনগণ যানজট ছাড়াই তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: অবশেষে মিটল “দূরত্ব”! ঈশান এবং শ্রেয়াসকে দ্বিতীয় সুযোগ দিল BCCI, “স্পেশাল” তালিকায় হলেন সামিল
এক্সপ্রেসওয়ে কবে প্রস্তুত হবে: উল্লেখ্য যে, পুণে-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসওয়ে ২০২৮ সালের মধ্যে প্রস্তুত হবে। যার জন্য প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এই এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাথমিকভাবে ৬ টি লেন থাকবে। যা পরে ৮ লেনে সম্প্রসারিত করা হবে। এই এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহণ প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম হবে। এই প্রকল্পের আওতায় এখনও পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (NHAI) তত্ত্বাবধানে নির্মাণ কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: এবার চরম সমস্যায় মলদ্বীপ! মুইজ্জুর “করুণ অবস্থায়” সাহায্য করতে প্রস্তুত ভারত
জেনে নিন রুট: মহারাষ্ট্রের পুণে রিং রোড থেকে শুরু করে এই এক্সপ্রেসওয়েটি পুণে, সাতারা এবং সাংলি জেলা হয়ে কর্ণাটকে প্রবেশ করবে। সেখানে এটি বেলগাঁও, বাগালকোট, গদগ, কোপ্পাল, বিজয়নগর, দাভানাগেরে, চিত্রদুর্গ, তুমকুর এবং বেঙ্গালুরুর গ্রামীণ জেলার মধ্য দিয়ে যাবে। জানিয়ে রাখি যে, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি ২০১৯ সালে পুণে-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসওয়েকে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন। এই নতুন এক্সপ্রেসওয়ে শুধু সংযোগই উন্নত করবে না। পাশাপাশি, সামগ্রিকভাবে ওই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নও বৃদ্ধি করবে।