বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফের একবার সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা সামনে এল পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan) থেকে। সাম্প্রতিক সময়ে এইরকম একের পর এক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে ওই দেশ। তবে, এবার পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত আঞ্চলিক পুলিশ হেডকোয়ার্টারে (Police Headquarters) সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুধু তাই নয়, শুক্রবারের ওই হামলায় অন্তত তিনজন পুলিশ নিহত হয়েছেন এবং তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তিন দিন আগেও ওই একই এলাকায় একটি বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছিল। যেখানে মোট ২৩ জন সেনা নিহত হয়েছিলেন। এদিকে, যে পুলিশ লাইনে এই হামলা হয়েছে সেটি খাইবার পাখতুনখোয়ার ট্যাঙ্ক জেলায় অবস্থিত। এর পাশাপাশি একটি চেকপোস্টেও সন্ত্রাসবাদী হামলার খবর সামনে এসেছে। যেখানে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
PTI-এর মতে, পাকিস্তানি সংবাদপত্র ডন ট্যাঙ্ক জেলার পুলিশ আধিকারিক ইফতিখার শাহকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, একজন সন্ত্রাসবাদী আত্মঘাতী বোমা দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেওয়ায় এই ঘটনা ঘটে। এই হামলা আরও বড় হতে পারত বলে জানান ওই আধিকারিক। বিস্ফোরণের পরপরই, পুরো এলাকায় আরও সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতি সম্পর্কে সতর্কতা জারি করা হয় এবং পুলিশ লাইনে উপস্থিত সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে, ইতিমধ্যেই পুলিশ লাইনে হামলার দায় স্বীকার করেছে নতুন জঙ্গি সংগঠন “আনসারুল জিহাদ”। বর্তমানে বাকি সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে পুলিশ পুরো এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। পাশাপাশি, ওই হামলায় আহত পুলিশ কর্মীদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আর থাকবে না ওয়েটিং লিস্ট, বিপুল ট্রেন বাড়াচ্ছে রেল! ১ লক্ষ কোটি টাকার প্রোজেক্ট ঘোষণা বৈষ্ণবের
তিন দিন আগেও বড় ধরণের সন্ত্রাসবাদী হামলা ঘটেছিল: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তিন দিন আগেই অর্থাৎ গত মঙ্গলবার উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে বড় ধরণের সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন সেনা নিহত এবং ৩০ জনেরও বেশি আহত হন। ওই হামলাটির দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-জিহাদ পাকিস্তান (TJP)। উল্লেখ্য যে, তেহরিক-ই-জিহাদ একটি নতুন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। যেটি পাকিস্তানে নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সাথে যুক্ত।
আরও পড়ুন: এবার এই মুসলিম দেশে ভিসা ছাড়াই অবাধে প্রবেশ! ক্ষমতা বাড়ল ভারতীয় পাসপোর্টের
৪ নভেম্বর বিমানঘাঁটিতে হামলা হয়: TJP সন্ত্রাসবাদীরা গত ৪ নভেম্বর, লাহোর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর মিয়ানওয়ালি ট্রেনিং এয়ারবেসে হামলা চালায়। ওই হামলায় এয়ারবাসে থাকা তিনটি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত কয়েক মাসে পাকিস্তানে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলা দেখা গেছে। পাকিস্তানের সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলি লক্ষ্য করেই বেশিরভাগ হামলার ঘটনা ঘটেছে।