বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহাকাশে (Space) বাড়ি বানিয়ে থাকার কথা কখনো ভেবেছেন? এবার মহাকাশে থাকা যাবে এমন বাড়ি তৈরি করছে বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এক স্টার্টআপ সংস্থা। এই বাড়িতে থাকতে পারবেন মহাকাশচারীরা। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (International Space Station) মতো ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন (BAS) তৈরির প্রস্তুতিও চলছে৷
এবার থাকতে পারবেন স্পেসেও (Space)
একই সঙ্গে ভারতীয় মহাকাশচারীদের মহাকাশে (Space) পাঠানো হবে গগনযান মিশনের মাধ্যমে। এই দুটি মিশনই মহাকাশে ভারতীয়দের দীর্ঘদিন থাকার জন্য ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, প্রয়োজনে এই বাড়ির আকার বৃদ্ধিও করা যেতে পারে। ‘সম্প্রসারণযোগ্য মহাকাশ বাসস্থান’ (Expandable Space Habitat) তৈরি করছে ‘আকাশলব্ধি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
আরোও পড়ুন : চোর-ছ্যাঁচড় ধরতে বড় উদ্যোগ রেলের! এই অত্যাধুনিক ক্যামেরাতেই হবে মুশকিল আসান
আইএসএসও এক ধরনের মহাকাশ বাসস্থান। তবে ‘আকাশলব্ধি’ যে বাসস্থান তৈরি করছে তা মহাকাশচারীদের জন্য পরবর্তী প্রজন্মের বাসস্থান। মহাকাশ পর্যটকদের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এই বাসস্থান গুলি। ইতিমধ্যেই আকাশলব্ধিকে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। ২০২৩ সালে নভেম্বর মাস থেকে IISc-এ কাজ শুরু করেছে এই স্টার্ট আপ সংস্থা।
আরোও পড়ুন : ধোপে টিকল না পুলিশের যুক্তি! মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা সেই ব্যক্তিকে জামিন হাইকোর্টের
ইতিমধ্যেই ‘স্পেস হাব’ নামের একটি প্রোটোটাইপও তৈরি হয়ে গিয়েছে। ফ্ল্যাটেবল হাউসে ছয় থেকে ১৬ জন থাকতে পারবেন বলে জানিয়েছে ওই কোম্পানি। এর কাঠামো এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে, মানুষকে ধ্বংসাবশেষ এবং বিকিরণ থেকে আরও বেশি সুরক্ষা প্রদান করে। ISS-এর ওজন ৪.২ লক্ষ কেজি, এটি উৎক্ষেপণ করতে ১৫৫ বিলিয়ন বছর এবং একত্রিত হতে ১৫ বছর লেগেছিল।
আকাশলব্ধি’-এর সিইও সিদ্ধার্থ জেনা জানান, “একবার প্রায় ১,১০০ কিলোমিটারের কাঙ্ক্ষিত কক্ষপথে পৌঁছে গেলে, বাসস্থানটিকে সম্পূর্ণরূপে স্ফীত করতে প্রায় সাত দিন সময় লাগবে৷ বাসস্থান তৈরি করতে আমরা সাতটি স্তর ব্যবহার করেছি। এতে বিশেষ উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা নকশার জন্য একটি পেটেন্ট আছে. ব্যবহৃত উপকরণ এবং প্রক্রিয়ার জন্য পেটেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি”।