বাংলা হান্ট ডেস্ক : গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) অভিযুক্ত হওয়ার পর ইডির হেফাজতে দিল্লি যান অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তারপর থেকে তাঁকে দেকে যেত সবুজ পাঞ্জাবি পরেই আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। তাঁর এই পোশাক নিয়ে জোর চর্চাও চলেছে হঠাৎই এক অন্যরূপে ধরা দিলেন তিনি।। এদিন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির পরেছিলেন গেরুয়া টি শার্ট।
হুইল চেয়ারে বসে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টে হাজির হন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর পরণে ছিল গেরুয়া রঙের টিশার্ট। অনেকেই অবশ্য দাবি করছেন, ওটা গেরুয়া না, রাস্ট (Rust) রঙ। তবে এ রংকে যদি রাস্টও বলা হয়, তাহলেও রাস্ট যে গেরুয়া আর ব্রাউনের মিশ্রণেই তৈরি একটি রং। অর্থাৎ অনুব্রতর গায়ে এই প্রথম দেখা গেল গেরুয়া রঙের পোশাক।
প্রসঙ্গত, দোলের দিন আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কলকাতা হয়ে দিল্লি পৌঁছন অনুব্রত মণ্ডল। এরপর থেকে একাধিকবার তাঁর পরণে সবুজ রঙের পাঞ্জাবিই দেখা গিয়েছে। একটাই যে পাঞ্জাবি এতদিন পরেছেন তাও নয়। পাঞ্জাবি বদলেছেন, তবে রংটা বদলাননি। তাঁর অনুগামীরা আবার বলেছেন, ‘দাদা যে মনেপ্রাণে দলটাকে ভালবাসে, এই পোশাকেই দাদার নীরব বার্তা। দলের একনিষ্ঠ কর্মী, তা বারেবারে বুঝিয়ে দিয়েছেন পোশাকে।’
এমনও শোনা যায়, কেষ্টর পয়মন্ত রং নাকি সবুজ। এক তান্ত্রিক নাকি একবার তাঁকে এই কথা বলেছিলেন বলেও শোনা যায়। তাহলে সেই কেষ্টবাবুর হঠাৎই রং বদল কেন? এদিকে, তিহাড় জেলে অনুব্রত আর একা নন, তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলেরও ঠিকানা তিহাড়ের সেল। বাবা-মেয়ের পাশাপাশি সেল। এই পরিস্থিতিতে সবুজ ছেড়ে গেরুয়া পরে কোনও নতুন বার্তা দিতে চাইলেন অনুব্রত? জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনৈতিক শিবিরে।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর মণ্ডলের পর গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও। অনুব্রতর পাশে ৬ নম্বর সেলেই রয়েছেন সুকন্যা। কিন্তু, তারপরেও বাবার সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁর। গ্রেফতারির পর থেকেই একাধিকবার বাবার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন সুকন্যা।