সাতসকালে কপাল পুড়ল অনুব্রতর! এবার আরও কষ্ট নেমে এল কেষ্টর জীবনে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের অস্বস্তিতে ‘বীরভূমের বাঘ’! গত বছর অগাস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সেই সময় থেকে শ্রীঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেই দিন কাটছে তার। বর্তমানে বাংলা পেরিয়ে তার ঠিকানা হয়েছে দিল্লির তিহাড় জেল। সেখানেই স্বপরিবারের সেখানেই রয়েছেন কেষ্ট। বারংবার জামিনের আর্জি জানিয়েও হচ্ছেনা সুরাহা। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আর্জির শুনানি ফের পিছিয়ে গেল।

কেন?

সূত্রের খবর, এদিন ইডি-র তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু-র শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। যদিও পাল্টা এতে আপত্তি জানান অনুব্রতের আইনজীবীরা। দুপক্ষের কথা শুনে আগামী ৫ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: ‘কাকু’র গলা মিললেই কেল্লাফতে! ডাকা হবে ফোনে থাকা ‘এই’ প্রভাবশালীকে, তোড়জোড় শুরু ED-র

গরু পাচার মামলার শুনানি

এদিকে আজ দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে গরু পাচার মামলার শুনানি ছিল। ধৃত অনুব্রত মণ্ডল, সেহগাল হোসেন, সতীশ কুমারকে সশরীরে আদালতে হাজির করানো হয়। ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির হয়েছিলেন কেষ্ট কন্যা সুকন্যা ও অভিযুক্ত এনামুল হক।

গরু পাচার মামলায় ইডির দেওয়া চার্জশিটের সঙ্গে দেওয়া অনেক নথি বাংলায় লেখা এই ইস্যু আদালতে তোলেন এনামুলের আইনজীবীরা। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২১ ডিসেম্বর।

anubrata tihar

বাবা কেষ্টর দিকে দায় ঠেলেছেন সুকন্যা

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সুকন্যা মণ্ডল তার নিজের নামে থাকা বিপুল সম্পত্তি, বিভিন্ন সংস্থার বিষয়ে কিছুই জানতেন না বলে দিল্লি হাই কোর্টে সওয়াল করেন তার আইনজীবী। যা নিয়ে গত সপ্তাহে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।

জামিন পেতে সুকন্যার তরফে হাই কোর্টে যুক্তি দিয়ে বলা হয়, অনুব্রত ও তার হিসেবরক্ষক (CA) মণীশ কোঠারি মিলে সুকন্যাকে যে কাগজে সই করতে বলতেন, তিনি সেখানে সই করে দিতেন। অর্থাৎ কৌশল করে ইতিমধ্যেই দুর্নীতির দায় বাবার থেকে ঠেলেছেন সুকন্যা। এবার আগামী ৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট অনুব্রতর জামিনের আর্জিতে কী রায় দেয় সেটাই দেখার।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর