বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুক্রবার সকালে হায়দারাবাদ তরুণী পশু চিকিত্সকের খুন এবং গণধর্ষণে অভিযুক্ত চার আসামিকে এনকাউন্টার করেছে তেলেঙ্গানা পুলিশ। পুলিশের এই সাফল্যে যথেষ্ট খুশি দেশবাসী। কারণ হায়দরাবাদ তরুণী গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছিল দেশের বিভিন্ন মহল। অনেকেই প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার দাবি তুলেছেন আবার কেউ কেউ জনতার মাঝে ছেড়ে দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন।
কেউ কেউ আবার অঙ্গচ্ছেদ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাত্ শুক্রবার অপ্রত্যাশিত ভাবে খুব তাড়াতাড়িই হায়দরাবাদের কাণ্ডের অভিযুক্ত শাস্তি পাওয়া নিয়ে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত দেশবাসী কিন্তু পুলিশের এনকাউন্টারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন অনেকেই। অর্থা হায়দরাবাদ এনকাউন্টার কার্যত দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। কেউ এনকাউন্টার মেনে নিলেও অনেকে আবার এনকাউন্টার নয় বরণ আগেই দোষী প্রমাণিত হলেই তবে শাস্তি দেওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন।
বিশেষ করে অভিনেত্রী তথা চলচ্চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন তিনি এনকাউন্টার পক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন। তাই তাঁর বিরোধিতা করে অপর্ণাকে আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। ফেসবুকে তিনি লেখেন হায়দারাবাদ গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ভিক্টিমের নাম যদি কঙ্কনা সেন শর্মা হতো তাহলে কি শ্রীমতি অপর্ণা সেনের পুলিশ এনকাউন্টার সম্পর্কে এই রিঅ্যাকশন থাকত?
অনুপমের মন্তব্য ঘিরে কার্যত জোর ঝড় উঠেছে রাজ্য অন্দরে। হায়দরাবাদ তরুণী গণধর্ষণ কাণ্ডে শুক্রবার পুলিশের এনকাউন্টার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পরিচালক অপর্ণা সেন, ওই চার জন যে ধর্ষণ করেছিলেন এটা নিশ্চিত হওয়া গেল কী ভাবে? আবার যদি তারা অপরাধী হয়ে থাকেন তা হলে শাস্তি পেল কই পুলিশ হেফাজতে থাকতেই তাঁদের মৃত্যু হল।
মন্তব্য করেন আর যার জেরে কার্যত ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন বিজেপি নেতা। তবে শুধুমাত্র পরিচালক অপর্ণা সেন ই নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনকাউন্টারের বিরোধিতা করে এটা আইন নয় যে আইনকে আমি নিজের হাতে তুলে নিলাম, আইন এটাই পুলিশ তার কাজ করবে আদালতে পেশ করবে। বিচারক বিচারকের কাজ করবেন। বলে মন্তব্য করেছিলেন। তবে বাদ বিবাদ থাকতেই পারে কিন্তু পুলিশের দিকেই পাল্লা ভারী। দেশের অধিকাংশ জনগণ পুলিশের এনকাউন্টার হয়েই কথা বলেছেন।