বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত আগস্ট মাসে ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। বলা হয় এবার থেকে ভূমিপুত্র না হলেও জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) মিলবে ভোটাধিকার। এবার একটু উলটো পথে হেঁটে জম্মুর ডেপুটি কমিশনার ঘোষণা করেন, অন্তত এক বছরের বেশি সময় ধরে জম্মুতে যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁদেরই কেবল ভোটার বলে গণ্য করা হবে। সমস্ত জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তহসিলদারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাঁরা এক বছরের বেশি সময় ধরে জম্মুতে বসবাস করছেন, তাঁদের শংসাপত্র তৈরি করতে হবে যত শীঘ্র সম্ভব।
২০১৯ সালে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ঘটার কেন্দ্র সরকার। ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’ হারায় জম্মু ও কাশ্মীর। একই সঙ্গে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয় উপত্যকা। তার পর থেকে এবারই প্রথম নির্বাচনী সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন। জম্মু প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনও যোগ্য ভোটারের যাতে তালিকার বাইরে না থাকেন, তাই এমন পদক্ষেপ। নির্দেশিকাতে আরও বলা হয়, আধার কার্ড, জল বা ইলেকট্রিকের বিল, গ্যাস সংযোগের নথি, ব্যাংকের পাসবই, পাসপোর্ট, জমির দলিল ইত্যাদিকে বসবাসের প্রমাণপত্র হিসেবে গণ্য করা হবে।
কিন্তু এই নির্দেশিকার বিরোধিতা শুরু করেছে বিরোধীরা। ‘জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স’-এর পক্ষ থেকে টুইটারে একটি পোস্ট করা হয়। তাতে লেখা হয়েছে, ‘সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে ২৫ লক্ষ অ-স্থানীয় ভোটারকে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি। বিজেপি নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে। এবং ওরা জানে ওদের খুব বাজে ভাবে হারতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ এই ষড়যন্ত্রের যোগ্য জবাব দেবে ব্যালট বাক্সেই।’
গত আগস্টে জাতীয় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হৃদেশ কুমার বলেন, ‘ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ডোমিসাইল সার্টিফিকেট লাগবে না। জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানরাও ভোটার তালিকায় নাম লেখাতে পারবেন। এছাড়া, বাইরে থেকে আসা চাকুরিজীবী, পড়ুয়ারাও ভোট দিতে পারবেন।’ তারপর থেকেই বিরোধীদের অভিযোগ করেন, ভিনরাজ্য থেকে ভোটার আমদানি করে নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করতেই এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র সরকার। মঙ্গলবারের এই সিদ্ধান্তের পরে সেই বিতর্ক আরও বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।