চাষ করুন অ্যারাবিয়ান খেজুর, খুব সহজেই আয় করতে পারবেন লক্ষ লক্ষ টাকা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সবকিছুতেই আসছে পরিবর্তনের ছোঁয়া। সেই রেশ পরিলক্ষিত হয়েছে কৃষিকার্যেও। এমতাবস্থায়, প্রথাগতভাবে চাষাবাদের বদলে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এবং চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন বিকল্প চাষের উৎস খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। পাশাপাশি, সেগুলির মাধ্যমে হচ্ছে লাভও। আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেও এই ধরণের চাষের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এবার উত্তরবঙ্গে (North Bengal) শুরু হল অ্যারাবিয়ান খেজুরের (Arabian Dates) চাষ। অত্যন্ত লাভজনক এই চাষকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই এক বাড়তি আগ্রহ দেখা গিয়েছে সকলের মধ্যে।

মূলত, মালদহ সারা দেশে আমের জন্য বিখ্যাত হলেও এবার সেই জেলাতেই অ্যারাবিয়ান খেজুর চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, মালদহের বামোনগোলা ব্লকে অরিন্দম রায় তাঁর ৮ বিঘা জমিতে অ্যারাবিয়ান খেজুর চাষ শুরু করেছেন। এমনকি, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গাছে ফলনও আসতে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই, এতে খুশি হয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, জেলায় অরিন্দম বাবুই প্রথম ওই চাষ শুরু করেন।

মালদহের পাকুয়াহাট এলাকায় খিরিপাড়ার বাসিন্দা অরিন্দম ইউটিউব মারফত এই চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। পাশাপাশি, পড়শি দেশ বাংলাদেশে বিপুল পরিমানে এই চাষ হচ্ছে বলেও খোঁজ পান তিনি। এছাড়াও, আমাদের দেশের গুজরাট ও রাজস্থানে এই খেজুরের চাষ হয়। এমতাবস্থায়, বিকল্প চাষ শুরু করার লক্ষ্যে নিজের জমিতেই অ্যারাবিয়ান খেজুর চাষের ইচ্ছে প্রকাশ করেন অরিন্দম বাবু। পাশাপাশি, রাজস্থান থেকে চারাগাছও নিয়ে আসেন তিনি।

এদিকে, বামোনগোলা ব্লকের অধিকাংশ কৃষি জমিতে আমন ধান চাষ খুব ভালো হয়। আর সেই জমিতেই প্রায় ৩০০ টি খেজুর গাছ লাগিয়ে এই চাষ শুরু করেছেন অরিন্দম বাবু। নিয়মিত যত্ন সহকারে গাছের পরিচর্যা করে যাওয়ার পাশাপাশি সমস্ত দিকেই রক্ষণাবেক্ষণ করছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দেশের পাশাপাশি বিদেশের বাজারে এই ফলের চাহিদা প্রচুর।

WhatsApp Image 2022 09 07 at 2.43.45 PM 1

এমতাবস্থায়, গাছগুলি লাগানোর প্রায় দু’বছর পর খেজুর ফলতে শুরু করেছে। এই খেজুরের বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি কেজিতে ৫০০ থেকে ২,৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়। পাশাপাশি, গাছগুলি পরিণত অবস্থায় এক থেকে দেড় কুইন্টাল পর্যন্ত খেজুর উৎপাদন করতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই, এটি অত্যন্ত লাভজনক একটি চাষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর