বাংলাহান্ট ডেস্ক : আরব দেশের মারিয়ম খেজুর উৎপন্ন হচ্ছে বাংলার মাটিতে। সুন্দরবনের হামিদ ভারতের মাটিতে এই খেজুর চাষ করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন। সুন্দরবনের (Sundarban) হাসনাবাদের বেনা গ্রামে উৎপন্ন হয়েছে আরব দেশের এই খেজুরের। আব্দুল হামিদ পাটলিখানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেনা গ্রামে বিদেশি এই খেজুরের চাষ করে সুদিনের আশা দেখছেন।
হামিদ আগে কাজ করতেন গাড়ির গ্যারেজে। এখন খেজুর গাছের চারা তৈরি করছেন। তা থেকেই উৎপন্ন হচ্ছে খেজুর (Arabian Date)। হামিদের এই সৃষ্টি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন এলাকাবাসীরা। স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে ছোট্ট সংসার হামিদের। তেমন সম্পত্তি কিছু নেই। শুধুমাত্র দু কাঠা চাষের জমি রয়েছে। হামিদের এক পরিচিত ব্যক্তি আরব থেকে এই খেজুর গাছের বীজ তাকে এনে দিয়েছিলেন।
সেই বীজ থেকেই তিনি এখন চাষ শুরু করেছেন। এমনকি উৎপন্ন হয়েছে খেজুরও। ধীরে ধীরে ত্রিশটি খেজুর গাছ উৎপন্ন করেছেন হামিদ। হামিদের দাবি, এবছর একটি গাছে প্রায় ১৫ কেজি খেজুর ফলেছে। হামিদের আশা বাকি গাছগুলিতে আগামী ২ বছরের মধ্যে খেজুর ফলবে। মোরিয়াম, সুক্কার ও আজোয়া, এই তিন ধরনের খেজুর গাছের বীজ রয়েছে হামিদের কাছে।
এই জাতের খেজুরের বেশ চাহিদা রয়েছে বাজারে। ভালো দামও পাওয়া যায়। হামিদ দাবি করেছেন, ৫০০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হয় মোরিয়াম জাতের খেজুর। ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় সুক্কার প্রজাতির খেজুর। আজোয়া প্রজাতির খেজুর ৮০০-২৫০০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়। এছাড়াও হামিদ খেজুর গাছের চারাও বিক্রি করছেন।
১০০০ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন সেই চারাগুলি। হামিদের কথায় বিশেষ পদ্ধতিতে মাটি তৈরি করে রোপণ করতে হয় সেই খেজুর গাছের বীজ। হামিদ জানিয়েছেন,”একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হয় ৩০ শতাংশ জৈব সার, ৩০ শতাংশ দোঁয়াশ মাটি, ২০ শতাংশ লাল বালি ও ২০ শতাংশ সাদা বালি দিয়ে। এরপর চারা বসাতে হয় সেই মাটিতে।”